1. admin@dainikamaderphulpur.com : admin :
  2. chiran777@gmail.com : selim rana : selim rana
  3. info.popularhostbd@gmail.com : phulpur :
রবিবার, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৩, ১০:১৪ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
দিনাজপুরের জনপ্রিয় সঙ্গীত শিল্পী হাফিজা শারমিন সুমি’র একক সঙ্গীত সন্ধ্যা ” গানে গানে কিছুক্ষণ “ দিনাজপুর-৬ আসনে এমপি শিবলী সাদিকের মনোনয়নপত্র দাখিল ময়মনসিংহে পিকআপ মোটরসাইকেল মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত-২ ফুলবাড়ীতে নিসচা’র ৩০ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালিত পটুয়াখালী-৩ আসনে ৭জন প্রার্থীর মনোনয়নপত্র দাখিল ময়মনসিংহে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত-৩ হালুয়াঘাটে প্রধান শিক্ষককে বিদায় সংবর্ধনা দিনাজপুরে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ইমামদের মাঝে সনদ বিতরণী অনুষ্ঠানে মহা-পরিচালক ঘোড়াঘাটে ট্রাক ভাংচুর বিএনপি জামায়াতের ৪০ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা ৫টি ককটেল উদ্ধার নারী ও কন্যার প্রতি সাইবার সহিংসতা বিষয়ে তরুনীদের সাথে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত

৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত কিস্তি পরিশোধে চাপ দেয়া যাবে না, সার্কুলার জারি

Reporter Name

করোনাভাইরাসের প্রভাবে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে নেতিবাচক পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ক্ষুদ্র ঋণের কিস্তি আদায় স্থগিত থাকবে। ওই সময় পর্যন্ত কোনো ঋণ বা ঋণের কিস্তিকে বকেয়া বা খেলাপি করা যাবে না। একই সঙ্গে ক্ষুদ্র ঋণের গ্রাহকদেরকে ঋণের কিস্তি পরিশোধে বাধ্য করা বা চাপ দেয়া যাবে না।

এ বিষয়ে মাইক্রোক্রেডিট রেগুলেটরি অর্থরিটি (এমআরএ) থেকে মঙ্গলবার একটি সার্কুলার জারি করে ক্ষুদ্র ঋণ দানকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রধান নির্বাহীর কাছে পাঠানো হয়েছে।

ক্ষুদ্র ঋণ দানকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর নিয়ন্ত্রক সংস্থা এমআরএ’র সার্কুলারে বলা হয়, কোনো গ্রাহক নিজ ইচ্ছায় ঋণের কিস্তি পরিশোধ করলে তা নিতে কোনো বাধা থাকবে না। গ্রাহকের কিস্তি পরিশোধের কারণে ঋণের মানের কোনো উন্নতি হলে তা করা যাবে। তবে কোনো ক্রমেই কোনো ঋণকে নতুন করে খেলাপি করা যাবে না।

সার্কুলারে উল্লেখ করা হয়, করোনাভাইরাসের প্রভাবে অর্থনীতির অধিকাংশ খাতই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ কারণে ক্ষুদ্র ঋণ গ্রহীতারাও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। অনেকের ঋণের কিস্তি পরিশোধের সক্ষমতা হারিয়েছে। করোনার নেতিবাচক প্রভাব দীর্ঘায়িত হওয়ার আশংকা দেখা দিয়েছে। বিশেষ করে শিল্প, সেবা ও ব্যবসা খাত স্বাভাবিক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করতে পারছে না। করোনার প্রভাবের কারণে সৃষ্ট পরিস্থিতিতে ঋণ গ্রহীতাদের আর্থিক অক্ষমতার কারণে ক্ষুদ্র ঋণের কিস্তি অপরিশোধিত থাকার আশংকা দেখা দিয়েছে। এ সব বিবেচনায় গ্রামীণ অর্থনীতিকে সচল রাখতে ওই সিন্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

এমআরএ থেকে এর আগে গত ২২ মার্চ জারি করা অপর এক সার্কুলারের মাধ্যমে গত ১ জানুয়ারি থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত ঋণের কিস্তি আদায় করা স্থগিত রাখা হয়েছিল। একই সঙ্গে কোনো ঋণকে বকেয়া বা খেলাপি না করার নির্দেশ দেয়া হয়েছিল। করোনার প্রভাব দীর্ঘায়িত হওয়ার এর মেয়াদ আরও তিন মাস বাড়ানো হয়েছে।

মঙ্গলবার জারি করা সার্কুলারে আরও বলা হয়, গ্রামীণ ক্ষুদ্র অর্থনীতির চাকা সচল রাখার স্বার্থে গ্রাহকদের মধ্যে নতুন ঋণ বিতরণ কার্যক্রম অব্যাহত রাখতে হবে। একই সঙ্গে সঞ্চয় নেয়া, জরুরি ত্রাণসামগ্রী বিতরণ, রেমিটেন্স সেবা, এজেন্ট ব্যাংকিং কার্যক্রম পরিচালনা, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা প্রদানসহ বিভিন্ন সামাজিক কার্যক্রম স্বাস্থ্যবিধি মেনে পরিচালনা করতে হবে। তবে কোনো গ্রাহক যদি তার সঞ্চয় তুলে নিতে চায় সেগুলোও ফেরত দিতে হবে।

এ দিকে ক্ষুদ্র ঋণের কিস্তি আদায় বন্ধ থাকায় ক্ষুদ্র ঋণ দানকারী প্রতিষ্ঠানগুলোতে অর্থ সংকট দেখা দিয়েছে। এ কারণে অনেক প্রতিষ্ঠান নতুন ঋণ দিতে পারছে না। এ সংকট মোকাবেলা করতে বাংলাদেশ ব্যাংক ক্ষুদ্র ঋণ বিতরণের জন্য ৩ হাজার কোটি টাকার একটি তহবিল গঠন করেছে। ক্ষুদ্র ঋণ প্রতিষ্ঠানগুলোর মাধ্যমে এ সব অর্থ মাঠপর্যায়ে বিতরণ করা হবে। ক্ষুদ্র ঋণ প্রতিষ্ঠানগুলো ওই তহবিল থেকে ঋণ পাবে সাড়ে ৩ শতাংশ সুদে। এ অর্থ তারা মাঠপর্যায়ে বিতরণ করবে সর্বোচ্চ ৯ শতাংশ সুদে। বর্তমানে ক্ষুদ্র ঋণ প্রতিষ্ঠানগুলো গ্রাহকদের কাছ থেকে ২৪ শতাংশ সুদ আদায় করে।

সূত্র জানায়, ব্র্যাক, আশাসহ বড় কিছু প্রতিষ্ঠানে রিজার্ভ তহবিল থাকায় তারা এখন নতুন ঋণ বিতরণ করতে পারছে।

সংবাদ টি শেয়ার করুন

এ বিভাগের আরো সংবাদ
© All rights reserved
Design BY Raytahost