মোঃ জাহিদ হোসেন , দিনাজপুর প্রতিনিধি ॥ হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (হাবিপ্রবি) লাইব্রেরি অটোমেশন ও ডিজিটাইজেশন প্রক্রিয়ার উদ্বোধন করা হয়েছে।
সোমবার (৩ এপ্রিল-২০২৩) দুপুর ১২টায় লাইব্রেরিতে উক্ত কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন হাবিপ্রবির ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. এম. কামরুজ্জামান। এ সময় ডীনবৃন্দ, লাইব্রেরি অটোমেশন বান্তবায়ন কমিটির আহবায়ক এবং পরিকল্পনা উন্নয়ন ও ওয়ার্কস শাখার পরিচালক, লাইব্রেরিয়ান, ডেপুটি-লাইব্রেরিয়ানসহ অন্যান্য শিক্ষক, কর্মকর্তা ও শিক্ষার্থীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে ভাইস-চ্যান্সেলর অটোমেশন প্রক্রিয়া সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন যন্ত্রাংশ ঘুরে দেখেন এবং এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে বই ইস্যু ও ফেরত প্রদানের মাধ্যমে উক্ত কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন। পরে ডিজিটাল লাইব্রেরি কার্ডধারী শিক্ষার্থীরাও অটোমেশন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে বই ইস্যু ও ফেরত প্রদান করেন। শিক্ষার্থীরা এই কার্যক্রমের ভূয়সী প্রশংসা করেন। তারা বলেন, এর মাধ্যমে লাইব্রেরি সংক্রান্ত আমাদের সকল কাজ অনেক সহজ ও ডিজিটাল প্রযুক্তিনির্ভর হয়ে গেছে।
এর আগে সকাল সাড়ে ৯টায় অডিটোরিয়াম ২ এ লাইব্রেরি অটোমেশন ও ডিজিটাইজেশন প্রক্রিয়ার উপর এক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হাবিপ্রবির ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. এম. কামরুজ্জামান। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সকল অনুষদের ডীনবৃন্দ ও অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন লাইব্রেরি অটোমেশন বান্তবায়ন কমিটির আহবায়ক এবং পরিকল্পনা উন্নয়ন ও ওয়ার্কস শাখার পরিচালক প্রফেসর ড. এটিএম শফিকুল ইসলাম। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ডেপুটি-লাইব্রেরিয়ান মোঃ আব্দুর রউফ বিন আবেদিন এবং অনুষ্ঠানে সঞ্চালনা করেন ডকুমেন্টেশন অফিসার উত্তম কুমার রায়। সেমিনারে বিভিন্ন বিভাগের চেয়ারম্যান, সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাবৃন্দ এবং বিভিন্নি অনুষদ ও লেভেলের ক্লাস প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করেন।
অনুষ্ঠানে ুহাবিপ্রবির লাইব্রেরি অটোমেশন ও ডিজিটাইজেশন প্রক্রিয়ার সাথে যুক্ত সংস্থা ইলেক্ট্রেহোম’র পক্ষ থেকে অটোমেশন প্রক্রিয়ার বিস্তারিত বিষয় স্লাইডের মাধ্যমে উপস্থাপনা করা হয়।
অনুষ্ঠানে হাবিপ্রবির ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. এম. কামরুজ্জামান বলেন, প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরে স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনের লক্ষ্যে আমরা এগিয়ে যাচ্ছি। এর সাথে তাল মিলিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে আমাদের হাবিপ্রবি। এরই অংশ হিসেবে লাইব্রেরি অটোমেশন করা হলো। এর ফলে শিক্ষার্থীদের ভোগান্তি অনেক কমে যাবে। লাইব্রেরিতে কি কি বই আছে, কি কি বই নেই সেটি ঘরে বসেই স্মার্ট ফোনের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা চেক করতে পারবে। পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের উন্নতমানের লাইব্রেরি কার্ড প্রদান করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে তথ্য প্রদান সাপেক্ষে ৮০০ জনের ডিজিটাল লাইব্রেরী কার্ড তৈরি হয়ে গেছে। আপনারা সংগ্রহ করে নেবেন, পাশাপাশি বাকিরা লাইব্রেরিতে যোগাযোগ করে ডিজিটাল লাইব্রেরি কার্ড তৈরি করে নেবেন। তিনি বলেন, আজকের সেমিনারের মূল বিষয় হলো সকলকে অবগত করা। আমাদের প্রায় ৪০০ জন শিক্ষক ও সাড়ে ১১ হাজার শিক্ষার্থী রয়েছেন। সবাইকে নিয়ে এ ধরণের সেমিনার আয়োজন করা অত্যন্ত কঠিন। সেজন্য আমরা চেয়ারম্যান ও ক্লাস প্রতিনিধিদের নিয়ে এর আয়োজন করেছি। আপনাদেরকে দায়িত্ব নিয়ে বাকিদের এই বিষয়টি সম্পর্কে জানাতে হবে। সব শেষে তিনি সেমিনার আয়োজনের সাথে সংশ্লিষ্ট সকলকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।
এদিকে শনিবার দুপুর ২টায় ইনস্টিটিউট অব রিসার্চ এন্ড ট্রেনিং (আইআরটি) কনফারেন্স রুমে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব বাজেট ও আইআরটির তত্ত্বাবধানে শিক্ষকবৃন্দের গবেষণা প্রকল্পসমূহের চূড়ান্ত ফলাফল উপস্থাপন বিষয়ক অ্যানুয়াল রিসার্চ রিভিউ ওয়ার্কশপ ২০২৩ এর ”বেস্ট প্রেজেন্টার অ্যাওয়ার্ড গিভিং সিরিমনি” অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হাবিপ্রবির ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. এম. কামরুজ্জামান। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন আইআরটি’র পরিচালক প্রফেসর ড. এসএম হারুন-উর-রশীদ।