রবিউল হক বাবুঃ- ফুলপুর প্রতিনিধি। ময়মনসিংহ জেলাধীন ফুলপুর উপজেলা বালিয়া ইউনিয়ন বড়ইকান্দী গ্রামে সকাল সাড়ে ৯ ঘটিকায় উপজেলা প্রশাসন ফুলপুর ময়মনসিংহ এর পক্ষে অত্র বড়ইকান্দী বধ্যভূমিতে পুষ্পস্তবক অর্পনের মাধ্যমে শুভ উদ্ভোধন করা হয়।
উক্ত মহান বিজয় দিবস /২০২১ এর বড়ইকান্দী বধ্যভূমিতে পুষ্পস্তবক অর্পনের শুভ সূচনা করেন বিজয়ের_৫০_বছর বধ্যভূমি আয়োজনে সাংবাদিক হ্নদি মোতালেব সহ কজন ফেসবুক বন্ধু কর্তৃপক্ষ।
সাংবাদিক হ্নদি মোতালেব সহ কজন ফেসবুক বন্ধু কর্তৃপক্ষ আয়োজিত। ১৬ ই ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে ১৯৭১ সালের এই দিনে ৩০ লক্ষ মা বোনদের ইজ্জতের বিনিময়ে আমরা পেয়েছি মহান বিজয় দিবস। এই দিনটির উদযাপন এর পক্ষ থেকে সবাইকে মহান বিজয় দিবস এর শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান বাংলাদেশ স্বেচ্ছাসেবক ফাউন্ডেশন এর কর্তৃপক্ষ ও বালিয়া এবং বওলা ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক বৃন্দ।
ইতিহাস বলে ১০ই এপ্রিল মুজিবনগর সরকার গঠন এবং স্বাধীনতার সাংবিধানিক ঘোষণাপত্র গ্রহণের মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধের আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয়। দীর্ঘ রক্ত ক্ষয়ী নয় মাস সংগ্রামের বিনিময়ে সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে ১৯৭১ সালে ১৬ ই ডিসেম্বর স্বাধীনতার চূড়ান্ত বিজয় অর্জিত হয়।পশ্চিমা পাকিস্তান হানাদার বাহিনী ৯৩ হাজার সদস্য বাঙালির কাছে এই দিন আত্মসমর্পণ করে। বিশ্বের মানচিত্রে স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রের অভ্যুদয় ঘটে।
স্বাধীনতা শব্দটি এমনিতে আসে নাই যার জন্য জাতির মহানায়ক অক্লান্ত পরিশ্রমের মধ্য দিয়ে দেশ জাতি তথা সমগ্র বাঙালি কে ঐক্য বদ্ধ করে জাগ্রত করে তুলে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশ স্বাধীনতার ক্ষেত্রে পর্যায়ক্রমে ১৯৪০ সালে লাহোর প্রস্তাব করেন শেরে বাংলা একেএম ফজলুল হক ।
১৯৪৭ সালে দেশ বিভক্ত ১৯৫২ সালে ভাষা আন্দোলন। ১৯৫৪ সালে যুক্তফ্রন্ট। ১৯৫৮ সালে সামরিক আইন। ১৯৬৬ সালের ৬ দফা। ১৯৬৯ সালের গণঅভ্যুত্থান। ১৯৭০ সালে সাধারণ নির্বাচন। সবশেষে১৯৭১ সালে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির মহানায়ক জাতিকে মুক্ত করার লক্ষ্যে ৭ই মার্চ সরোয়ারদী উদ্যানে যে ঐতিহাসিক ভাষণ প্রদান করেন এই ভাষণের মধ্য দিয়ে জাতীয় মুক্তি পায় পরাধীনতার হাত থেকে। জাতি ফিরে পাই মা ও মাটি মাতৃভূমি তথা আমাদের এই দেশ যার নাম বাংলাদেশ।
যার মধ্যে রয়েছে লাল সবুজের পতাকা। স্বাধীনতা শব্দটি শুনলেই মনের মধ্যে হাহাকার ধ্বনি বেজে ওঠে কারণ এটাই আমরা ছিলাম পরাধীন। সেই পরাধীনতার হাত থেকে মুক্তি পেয়ে আমরা হয়েছি স্বাধীন স্বাধীনতা আমাদের গর্ব আমাদের অহংকার আমাদের গৌরব। কথায় আছে স্বাধীনতা অর্জনের চেয়ে স্বাধীনতা রক্ষা করা কঠিন। তাই আমাদের প্রত্যেকের দায়িত্ব ও কর্তব্য হচ্ছে এই স্বাধীন দেশটিকে তার সার্বভৌমত্ব রক্ষা করা।
সার্বভৌমত্ব রক্ষা করার মধ্য দিয়ে দেশ জাতি হবে উন্নত। বাংলার মানুষ হবে সমৃদ্ধি এবং বিশ্বের দরবারে হবে উন্নয়নশীল রাষ্ট্র। এই জন্য প্রথমত প্রয়োজন আমাদের জাতিকে হতে হবে শিক্ষিত মার্জিত এবং নীতি হতে হবে আদর্শ চরিত্র। তাই আমাদের প্রত্যেকেরই উচিত এদেশের স্বাধীনতা রক্ষা করা এবং সুশিক্ষিত হওয়া সুশিক্ষিত হওয়ার মধ্য দিয়ে একটি আদর্শ রাষ্ট্র গড়ে তোলা সম্ভব।
আসুন সবাই ভেদাভেদ ভুলে গিয়ে ঐক্য বদ্ধ হয়ে জাতিকে কিভাবে বিশ্বের মানচিত্র একটি মডেল রাষ্ট্র হিসাবে গড়ে তোলা যায় এই প্রত্যাশা করি। আজকে এই মহান বিজয় দিবসে আমরা অঙ্গীকারবদ্ধ হয়। জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে আমরা সবাই বাঙ্গালী বাংলা আমার প্রাণ বাংলা আমার মা বাংলা আমার মাতৃভূমি বাংলা আমার চেতনা বাংলায় আমার সব। তাইতো আমি বাঙালি বাংলায় আমি কথা বলি আমি বাঙালি পরিশেষে সমগ্র বাঙালি জাতিকে মহান বিজয় দিবসের তাৎপর্যময় পূর্ণ এই দিনটির উদযাপন এর কথা উল্লেখ করে সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে স্বাধীনতার ৫০ বছর পর এ বছরই প্রথম ফুলপুরের বড়ইকান্দি বধ্যভূমিতে সরকারীভাবে পুষ্পস্তবক অর্পনের মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধের বীর শহীদদের প্রতি সম্মান জানানো হলো।