ময়মনসিংহে চাঞ্চল্যকর অটোচালক মোশাররফ হোসেন হত্যা মামলার ৪ আসামী ডিবি’র হাতে আটক
ময়মনসিংহ প্রতিনিধিঃময়মনসিংহে চাঞ্চলকর অটোচালক মোশাররফ হোসেন(২৪) হত্যা মামলার ৪ ঘাতক আসামীকে গ্রেপ্তার করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ(ডিবি)।পুলিশ বলছে কলেজছাত্র মনির উদ্দিনের নেতৃত্বে শুধুমাত্র অর্থের জন্যই ৪ জনন মিলে খুন করে অটোচালক মোশারফকে।
মঙ্গলবার দুপুরে জেলা গোয়েন্দা(ডিবি)পুলিশ নিজ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে এসব তথ্য জানান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. রায়হানুল ইসলাম।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, মো. শাহজালাল শিকদার (২৪), মো. শান্ত মন্ডল (২০), মো. আশরাফুল ইসলাম মানিক (২৫) ও মনির উদ্দিন (২৬)।
অটোচালককে হত্যা করার পর মূল ঘাতক মো. মনির হোসেন তার গেঞ্জি এবং মো. শান্ত মণ্ডলের পায়ের জুতা ফেলে দৌড়ে পালিয়ে যান। সেই সূত্র ধরেই ৪ আসামিকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়েছে। আসামিরা ঘটনার দায় স্বীকার করেছেন। সোমবার রাতে ৩ জনকে নান্দাইলের জাহাঙ্গীরপুর থেকে এবং গাজীপুরের মাওনা চৌরাস্তা থেকে প্রধান ঘাতক মনির উদ্দিনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জানান, গত বছরের ২ নভেম্বর কিশোরগঞ্জ সদর থানাধীন বটতলা বাজারে অটোস্ট্যান্ডে যাত্রীর অপেক্ষায় ছিলেন মোশাররফ। রোগী বহনের কথা বলে রাত ৮টার দিকে গ্রেপ্তার ৪ জন মিলে মনির উদ্দিনের নেতৃত্বে ৩০০ টাকায় মোশারফের অটো ভাড়া নেন। পরে ময়মনসিংহের নান্দাইলের সেরাটি বাজারে এসে চালককে ছুরিকাঘাতে হত্যা করে অটো ছিনিয়ে নিয়ে চলে যায়। হত্যাকাণ্ডের ঘটনা টের পেয়ে স্থানীয় লোকজন তাদের ধাওয়া দিলে মনির হোসেনের গেঞ্জি এবং শান্ত মণ্ডলের পায়ের জুতা ফেলে দৌড়ে পালিয়ে যায়। এই আলামতের সূত্র ধরেই আসামিদের গ্রেপ্তার করা সম্ভব হযেছে বলে জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।
এর আগে ৫ নভেম্বর ভিকট্রিমের বাবা সুলতান উদ্দিন সুলতু (৫৫) নান্দাইল থানায় বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলাটি তদন্তভার পায় জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
নিহত মোশারফ হোসেন কিশোরগঞ্জ জেলার হোসেনপুর থানাধীন গোবিন্দপুর গ্রামের সুলতান উদ্দিন সুলতুর ছেলে। প্রধান ঘাতক মনির উদ্দিন এমবিএ পাশ করা বেকার যুবক। তিনি নান্দাইল রহিমপুর গ্রামের সোহরাব উদ্দিনের ছেলে। মূলত প্রধান পরিকল্পনাকারী মনির উদ্দিনসহ ঘাতকদের টাকার দরকার হওয়ায় এমন হত্যাকান্ড ঘটিয়েছে বলে জানায় পুলিশ।