1. admin@dainikamaderphulpur.com : admin :
  2. chiran777@gmail.com : selim rana : selim rana
  3. info.popularhostbd@gmail.com : phulpur :
বৃহস্পতিবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৯:৩০ অপরাহ্ন
শিরোনাম :

মোবাইল কলরেটে কর বৃদ্ধিতে প্রধানমন্ত্রীর সায় নেই

Reporter Name

করোনা মহামারীর এই দুর্যোগে ২০২০-২১ অর্থবছরের বাজেটে মোবাইল ফোনের কলরেটে বাড়তি সম্পূরক শুল্ক আরোপের প্রস্তাবে প্রধানমন্ত্রী সায় দেননি বলে একটি সূত্র নিশ্চিত করেছে। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে বাড়তি কর প্রত্যাহারের চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে, যা আগামীকাল সোমবার অর্থবিলের মাধ্যমে সংসদে পাস হবে। অর্থবিল পাসের মধ্য দিয়ে নতুন বাজেটের কর প্রস্তাবসমূহ কার্যকর হবে।

এরআগে, ‘অর্থনৈতিক উত্তরণ ও ভবিষ্যৎ পথ পরিক্রমা’ শিরোনামে মহামারি করোনাভাইরাসের কারণে স্থবির হওয়া অর্থনীতি পুনরুদ্ধারের প্রত্যাশা সামনে রেখে ২০২০-২১ অর্থবছরের জন্য ৫ লাখ ৬৮ হাজার কোটি টাকার প্রস্তাবিত বাজেট জাতীয় সংসদে উপস্থাপন করেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। বাজেটে মোবাইল ফোনে কথা বলাসহ অন্যান্য সেবার ওপর বাড়তি ৫ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক আরোপের প্রস্তাব দিয়েছিলেন অর্থমন্ত্রী।

করোনাকালীন দুর্যোগের এ কঠিন মুহুর্তে সাধারণ জনগণের জীবন-যাপন যখন দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে, তখন বাজেটে বাড়তি করারোপ করায় ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়ে সরকার। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও দেশের এই ক্রান্তিকালে সাধারণ মানুষের উপর অতিরিক্ত চাপ তৈরী এমন কোন কর বসাতে রাজি নন।

আগামীকাল সোমবার (২৯ জুন) জাতীয় সংসদে ২০২০ সালের অর্থবিল পাস করার সময় মোবাইল ফোনের কলরেটে বাড়তি সম্পূরক শুল্ক আরোপের প্রস্তাব প্রত্যাহার করে নিতে পারেন অর্থমন্ত্রী। এর আগে গত ১১ জুন বাজেট বক্তৃতায় মোবাইল ফোনে কথা বলা, খুদে বার্তা পাঠানো ও ইন্টারনেট ব্যবহারে সম্পূরক শুল্ক ১০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১৫ শতাংশ করার প্রস্তাব করেছিলেন অর্থমন্ত্রী।

নিয়ম অনুযায়ী, গত ১১ জুন জাতীয় সংসদে বাজেট প্রস্তাবের পরপরই তা কার্যকরও হয়ে গেছে। কিন্তু বাড়তি সম্পূরক শুল্ক আরোপ করায় গ্রাহক পর্যায়ে তীব্র সমালোচনা হয়। পরের দিন অর্থাৎ ১২ জুন বাজেটোত্তর সংবাদ সম্মেলনে এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে কোনো জবাব দেননি অর্থমন্ত্রী।

তবে একই সংবাদ সম্মেলনে সেদিন এনবিআর চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম বলেছিলেন, ‘আমাদের দেশের মানুষ অকারণে বেশি কথা বলেন। যে পরিমাণ কর বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়, তাতে দশমিক ৫ শতাংশ খরচ বাড়বে। এতে জনজীবনে তেমন প্রভাব পড়বে না।’ তার এমন বক্তব্যে সারা দেশে সমালোচনার ঝড় ওঠে। তাই সেই অবস্থান থেকে সরে আসছে সরকার।

সূত্র জানায়, বাজেট প্রস্তাবের সঙ্গে সঙ্গেই সব ধরনের সম্পূরক শুল্ক কার্যকর হয়ে যায়। ফলে মোবাইল ফোনে কথা বলা, খুদে বার্তাসহ অন্যান্য সেবায় ১৫ শতাংশ ভ্যাট, এক শতাংশ সারচার্জ, ১৫ শতাংশ প্রস্তাবিত সম্পূরক শুল্ক গ্রাহক পর্যায়ে আরোপ করা হয়। সবমিলিয়ে এখন ১০০ টাকা রিচার্জ করলে সরকার পায় ২৫ টাকা। ফলে গ্রাহকের ব্যবহার করতে পারেন ২৫ টাকা। সম্পূরক শুল্কহার আবার আগের জায়গায় ফেরত গেলে সরকার পাবে ২২ টাকা। আর গ্রাহক ৭৮ টাকা ব্যবহার করতে পারবেন। বাড়তি শুল্ক আরোপ করায় গ্রাহকের ক্রয়ক্ষমতা কমেছে ৩ টাকা।

জানা গেছে, অর্থবিল পাশের দিন সংসদে বাজেটের ওপর সমাপনী বক্তব্য দেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এছাড়া সংশোধনী কর প্রস্তাবসমূহ উপস্থাপন করবেন অর্থমন্ত্রী। তারপর কণ্ঠভোটে পাস হবে অর্থ বিল-২০২০। পরদিন ৩০ জুন মঙ্গলবার জাতীয় সংসদে পাস হবে ২০২০-২১ অর্থবছরের বাজেট।

সংবাদ টি শেয়ার করুন

এ বিভাগের আরো সংবাদ
© All rights reserved
Design BY Raytahost