সাপাহার (নওগাঁ) প্রতিনিধিঃ নওগাঁর পত্নীতলায় কথিত সাংবাদিক জাহাঙ্গীর আলম মানিক ও হাফিজুল হক সহ আওয়ামী নাম ব্যবহার কারী অনুপ্রবেশ ও কিছু দুষ্কৃতকারীদের মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবীতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহষ্পতিবার বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে পত্নীতলা উপজেলার নকুচা মোড়ে ঘন্টাকাল ব্যাপী মানব বন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
এসময় নকুচা গ্রামের বাসিন্দা নুরুল ইসলামের সভাপিত্বে উক্ত মানববন্ধন কর্মসূচী অনুষ্ঠিত হয়। বক্তারা বলেন,নওগাঁর সাপাহার উপজেলার কথিত সাংবাদিক জাহাঙ্গীর আলম মানিক ও হাফিজুল হক সহ আওয়ামী নাম ব্যবহার কারী অনুপ্রবেশকারী ও কিছু দুষ্কৃতকারীদের মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবীতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, উপজেলার বৈরামপুর মল্লিকপুর গ্রামের তৌফিকুল ইসলাম, মাহফিজুল, ফয়জুল, রাব্বানী সাথে আকবরের দীর্ঘ দিন ধরে দুইদাগে ১২ শতাংশ জমির বাটোয়ারা নিয়ে বিরোধ চলে আসছে। ওই জমিরবিরোধ মিমাংসার জন্য গত ৬ এপ্রিল ইউনিয়ন পরিষদের গ্রাম আদালতে সালিশ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। আকবরের দাবি তাঁর অংশের জমি তিনি রাস্তার ধারে নেবেন। অন্য অংশীদাররা তা মানতে রাজি না হওয়ায় বৈঠকে সবার উপস্থিতিতে গ্রাম আদালতের বিচারক দিবর ইউপি চেয়ারম্যান রাহাত জামান দুই দাগে সবার জমি মালিকানা অনুসারে ভাগ করে দেন। কিন্তু আকবর গ্রাম আদালতের সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে ওই দিনই জোর করে জমির দখল তাঁর ইচ্ছে মতো অংশে বুঝে নিতে গেলে ওই জমির অন্য অংশীদার মাহফিজুল, ফয়জুল, রাব্বানী ও তৌফিকুল তাঁকে বাধা দেয়। এ সময় দুইপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। যাতে পুরোদস্তুর সহযোগীতা করে কথিত সাংবাদিক জাহাঙ্গীর আলম মানিক ও হাফিজুল হক।
বক্তারা আরো বলেন, সাপাহার থেকে এসে পত্নীতলায় প্রতিপক্ষের নিকট টাকা নিয়ে কতিথ সাংবাদিক জাহাঙ্গীর আলম মানিক ও তার দলবল বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে। যাতে করে স্থানীয় সরকারের কাজে চরম বাধাগ্রস্ত হয়।
ইউপি চেয়ারম্যান রাহাত জামানের দাবি, ‘বিবদমান ১২ শতাংশ জমির মালিক পাঁচজন। এর মধ্যে পৈত্রিক সূত্রে পাওয়া ৬ শতাংশ জমির মালিক হচ্ছেন তৌফিকুল ইসলাম। আর ক্রয়সূত্রে ৬ শতাংশ জমির মালিক আকবর,মাহফিজুল, ফয়জুল ও রাব্বানী। তাঁরা সবাই দুই শতাংশ করে জমির মালিক।ওই জমির বাটোয়ারা নেই তাঁদের মধ্যে বিরোধ চলছে। তৌফিকুল ইসলামের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে গত ৬ এপ্রিল ইউনিয়ন পরিষদের গ্রাম আদালতে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে সকল পক্ষ উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকে যৌক্তিকভাবে দুই দাগেই সবার মালিকানা অংশে সমানভাবে ভাগ করে দেওয়া হয়। কিন্তু আকবরের দাবি, এক দাগেই এবং রাস্তার ধারের অংশ নিতে চায়। তাঁর কথা মতো সিদ্ধান্ত না দেওয়ায় এবং আমার রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের ইন্ধনে পরবর্তীতে প্রতিপক্ষের সঙ্গে মারামারি ঘটনায় আমাকে মিথ্যা হুকুমের আসামি করে মামলা করেছেন। ওই মামলা প্রত্যাহারের জোর দাবী জানান ইউপি চেয়ারম্যান রাহাত জামান সহ মানববন্ধনে উপস্থিত সকল জনগন। এছাড়াও কতিথ সাংবাদিক জাহাঙ্গীর আলম মানিক ও হাফিজুলের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবী করেন তারা। আর অতি শীঘ্রই এই দুই সাংবাদিক কে দিবর ইউনিয়নের পক্ষ থেকে অবাঞ্চিত ঘোষনা করা হবে বলে জানান।
এসময় উপস্থিত ছিলেন দিবর ইউপির চেয়ারম্যান রাহাত জামান, ইউপি সদস্য আকবর আলী, স্থানীয় বাসিন্দা গোলাম রাববানী, মাহফিজুর রহমান, হামিদুল ইসলাম সহ তিন শতাধিক জনগন ।