মোহাম্মদ বিপ্লব সরকার : মহান বিজয় দিবস উ্দযাপন উপলক্ষে চাঁদপুর জেলা প্রশাসনের আয়োজনে মুক্তিযুদ্ধা ও শহিদ পরিবারের সদস্যদের স্যবর্ধনা ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। জেলা প্রসাশক অঞ্জনা খান মজলিসের সভাপতিত্বে ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট খোরশেদ আলম চৌধূরীরও জেলা স্কাউট সম্পাদক অজয় ভৌমিকের যৌথ সঞ্চালনায় মুক্তিযুদ্ধা ও শহিদ পরিবারের সদস্যদের স্যবর্ধনা ও আলোচনা সভাটি অনুষ্ঠিত হয়।
সভাপতির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক অঞ্জনা খান মজলিস বলেন, আজকে আমরা বিজয়ের ৫০ বছরে উপনিত হলাম। তাই আমি শ্রদ্ধা ভরে স্মরন করি আপনাদের কে। আপনারা সেদিন নিজের জীবনকে বাজি রেখে যুদ্ধে ঝাপিয়ে পরেছিলেন। এদেশকে স্বাধীন করতে। আজকে যদি আমরা স্বাধীনতায় উদ্ধোধ হকে না পারি তাহলে আমরা পিছিয়ে পরবো। “আমার সোনার বাংলা আমি তোমায় ভালোবাসি” আমরা এ দেশকে ভালোবাসবো।আমরা যদি এ দেশকে ভালো না বাসি তাহলে আবারও পিছিয়ে পড়বো। তিনি আরো বলেন সেদিন হাজীগঞ্জ যে সাম্প্রদায়িক ঘটনা ঘটেছে ঘটিয়েছে তারা দেশকে পিছিয়ে নিয়ে যেতে চেয়ে ছিল। তারা দেশকে অস্থিতিশীল করতে এ ধরনের কাজ করেছিল। তারা দেশকে পিছিয়ে নিতে চায়।তারা দেশের শত্রু, স্বাধীনতার শত্রু।আপনার দেখলে আমি তাকিয়ে থাকি। ভাবি সেদিন আপনারা দেশ কে স্বাধীন করতে স্ত্রী সন্তানদের ফেলে রেখে দেশকে শত্রু মুক্ত করতে যুদ্ধে গিয়ে ছিলেন। দেশকে স্বাধীন করেছেন। আমি প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টিতে আনবো যেন বিনা খরচে আপনাদের চিকিৎসা সেবা করা হয়আমরা ডেন মুক্তিযুদ্ধাদের আরো অনেক দিন দেখতে পাই। যারা স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় সহযোগিতা করেনি,তারা এখনো সাহায্য করেনা। তারা স্বাধীন দেশ কে ধ্বংস করতে চায়। যারা এ দেশ কে উন্নত দেশ করতে সহায়তা করে তাদের শ্রদাধা খ। তিনি আরো বলেন আমরা কষ্ট পাই তখন যখন দেখি যুদ্ধাপরাধীদের গাড়িতে লাল সবুজ পতাকা উড়ে। এমন দৃশ্য আমরা আরদেখতে চাই না।
অন্যান্য বক্তারা বলেন, যার জম্ম না হলে এ দশে স্বাধীন হতোনা সেই স্বাধীনতার স্হপতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমানকে স্মরন করছি। স্মরন করছি ৩০ লাখ শহীদ কে। বঙ্গবন্ধুর ডাকে সেদিন আমরা মুক্তিযুদ্ধারা যুদ্ধে ঝাপিয়ে না পরলে এ দেশস্বাধীন হতো না। বর্তমান সরকার মুক্তিযুদ্ধাদের ভাতা বৃদ্ধি করেছ। কিন্তু অসচ্ছল মুক্তিযুদ্ধারা চিকিৎসার অভাবে ধুকে ধুকে মরছে। তাতের চিকিৎসা সরকারি ভাবে ডেন করা হয় সে দাবী জানাই।শেখ হাসিনার হাতকে আরো শক্তিশালী করবেন। আমরা ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ বঙ্গবন্ধুর ভাষণ শুনে মুক্তিযুদ্ধের প্রস্তুতি নিয়েছি। নিজেদের জীবন বাজি রেখ যুদ্ধে গিয়ে ছিলাম। আমরা যারা ৭১ এর মুক্তিযুদ্ধা ২০২১ সালে আমাতের চাওয়া পাওয়ায় কিছু নেই।আজকে যে মুক্তি যুদ্ধের কথা বলবো তা একদিনে আসেনি। চাঁদপুরে যারা মুক্তিযুদ্ধা কারা ছিল তাদের অনেককে আমরা চিনিনা। চাঁদপুরে মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্ব দিয়েছে আঃ করিম পাটোয়ারী, সুবেদার আব্দুর রবরা।হাইমচরে হিন্দুদের ঘরে মুসলিমরা যেতে পারতো না। সেই হিন্দুদের ঘরে মুক্তিযুদ্ধাদের স্হান দিয়েছে। তারা তাদের মেয়েদের ভরতে পাঠিয়ে দিয়ে ছিল। ৭১ এর হাতিয়ার গর্জে উঠোক আরেক বার। যারা পাকিস্তানের পতাকা এখন গায়ে জরিয়ে উল্লাস করে তাা পাকিস্তানের পেতাত্মা ছাড়া আর কিছুই নয়। এ বাংলা হবে মুহহ শক্তিযুদ্ধাদের, এ বাংতঝউচআসলা হবে স্বাধীন বাংলাকসকৃবতত
ঃু,র। এখুঃন বাংলাদেশে কেউ না খেয়ে থাকে না। বঙ্গবন্ধু স্বপ্ন দেখে ছিলেন সোনার বাংলার। সেই স্বপ্ন পূরন হয়েছে।ববঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট, মেট্রো রেল, পদ্মা সেতু, পায়রা বিদ্যুত কেন্দ্রসহ সকল কিছু করা হচ্ছে।এতে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠিত হচ্ছে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, পুলিশ সুপার মিলন মাহমুদ বিপিএম ( বার),জেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক আবু নঈম পাটোয়ারী দুলাল, স্বাধীনতা পদক প্রাপ্ত মুক্তিযুদ্ধা ডাঃ সৈয়দা বদরুন নাহার চৌধুরী, সাবেক ডেপুটি কমান্ডার আব্দুল হাফিজ খান, মহসিন পাঠান,ইয়াকুব আলি মাস্টার, চাঁদপুর প্রেস ক্লাব সভাপতি ইকবাল হোসেন পাটোয়ারী,
কোরআন তেলোয়াত করেন সাঁতারো ছানা উল্যা খান। গীতা পাঠ করেন সাধন সরকার। পরে চাঁদপুর জেলার সকল উপজেলার ২ শ জন মুক্তিযুদ্ধা ও শহিদ পরিবারের সদস্যদের সংবর্ধনা ও আর্থিক অনুদান প্রদান করা হয়।