মোহাম্মদ বিপ্লব সরকার: চাঁদপুর থিয়েটার ফোরামের আয়োজনে ও চাঁদপুর জেলা শিল্পকলা একাডেমীর সহযোগিতায় ভবশ্ব নাট্য দিবস চাঁদপুরে পালন করা হয়। ২৭ মার্চ রবিবার বিকাল সাড়ে ৪ টায় জেলা শিল্পকলা একাডেমী মিলনায়তনে থিয়েটার আড্ডা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়
চাঁদপুর থিয়েটার ফোরামের সভাপতি শহিদ পাটোয়ারীর সভাপতিত্বে ও সঞ্চালনায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন চাঁদপুর জেলা স্কাউটের সাধারন সম্পাদক অজয় কুমার ভৌমিক।
তিনি বলেন, বক্তব্য রাখার আগে আমি বলবো সত্যিকার কথা নাট্য কর্মীরাই বলতে পারে। নবাব সিরাজুদৌলা নাটক করতে আমাতের এক সময় অনুমতি দেয়া হয়নির।আমাদের অেক নাট্য কর্মীকেজেল হাজত খাটতে হয়েছে।সত্যিকারের নাটক যদি আপনার প্রাণ হতো তাহলে এ এলাকাটা মুখরিত হতো। হুমায়ন ফরিদিকে এখানে নাটক করেছে। তোমরাই নাটক করতে গিয়ে আমি ভেবিছি কি হবে। পুরো নাটকটি ছিল সরকার বিরোধী। মহিলা কলেজে তোমরাই নাটক চলাকালে তৎকালীন ডিসি সামছুল আলম ও পুলিশ সুপার আমাকে ডেকে বলেন আমাদের চাকুরী খাবার ব্যবস্হা করেছেন। আমি তাতের বুঝালাম, তাতের নাটক দেখালাম তখন ডিসি সামছুল আলম খুশি হয়ে ৫ হাজার টাকা দিয়েছিল। সত্যিকার অর্থে নাট্য কর্মীরা তার অভিনয়ে চীর দিন বেঁচে থাকবে।নাট্য কর্মীরাই তার কর্মে সবাই স্মরনে রাখবে।অন্যায় অবিচারের পাশে কে দাঁড়ায় নাট্য কর্মীরা। যারা চাঁদপুরের সাংস্কৃতিক ও নাট্য অঙ্গনকে ধরে রেখেছে তাদের প্রতি অনুরোধ নব প্রজম্ম কে নাট্য চর্চায় উদ্ধোধ্য করতে হবে।
বক্তারা বলেন, বিশ্ব নাট্য দিবস ১৯৬২ সালে প্রথম পালন করা হয় অস্টিয়ার ভিয়েনায়। বাংলাদেশে ১৯৯২ সালে প্রথম পালন করা শুরু হয়। বাংলাদেশে সব দিবসই আছে, আমরা বিশ্ব নাট্য দিবস সবাই মিলে পালন করবো। আমরা যদি মনের প্রাণে সংগঠনকে ভাল না বাসি তাহলে তাহলেই সব ভাল কাজ করা যাবে। আমরা মঞ্চ কর্মীরা নাটক আর সমাজ পরিবর্তনের মাধ্যমে শিল্পীরা যিগের পর যুগ বেঁচে থাকবে।
বক্তব্য রাখেন,চাঁদপুর ড্রামার সভাপতি তপন সরকার, চতুরঙ্গের ও মুক্তিযুদ্ধের বিজয় মেলার মহা সচিব হারুন আল রশিদ, মেঘনা থিয়েটারের সভাপতি তবিবুর রহমান রিংকু, অনুপম নাট্য গোষ্ঠীর সাধারন সম্পাদক গোবিন্দ মণ্ডল, চাঁদপুর ড্রামার সাধারন সম্পাদক মানিক পোদ্দার,অনন্যা নাট্য গোষ্ঠীর সাধারন সম্পাদক মৃণাল সরকার, স্বরলিপি নাট্য দলের সভাপতি ও প্রতিষ্ঠাতা এম আর ইসলাম বাবু, থিয়েটার আড্ডা শেষে বিশ্ব নাট্য দিবসের শোভাযাত্রা বের করা হয়।
সব শেষে মৃণাল সরকারের পরিচালনায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে সংগিত পরিবেশন করে সানজিদা আলম সাঞ্জু, কাজী কাবিশা, খাদিজা ফেরদৌস লিমা, অন্তরা নন্দি। যন্ত্র সংগিতে ছিলেন অনিক নন্দি।
এসময় আরো উপস্হিতি ছিলেন, ডাঃ হারুনুর রশিদ, কার্তিক সরকার, রুনা আক্তার আশা, ফাতেমা জেরিন, ফাতেমা, পলাশ দে, নজরুল ইসলাম রনি, অজিত সরকার, কৃষ্ণ গোপাল সরকার, শৈবাল মজুমদার, অজিত দত্ত সহ আরো অনেকে।