রাকিবুল ইসলাম মাহফুজ।। ময়মনসিংহের ফুলপুরে শেরপুর রোডস্থ বাইতুন নূর জামে মসজিদের ইমাম ও খতীব পদে দারুল ইহসান কাসিমিয়া এক্সিলেন্ট মাদরাসার পরিচালক মাওলানা মো. আব্দুল মান্নান সাহেবকে চূড়ান্ত করা হয়েছে। রবিবার (৮ জানুয়ারি) বাদ মাগরিব মসজিদের নিচ তলায় মসজিদ কমিটির এক সাধারণ সভায় এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। মাওলানা আব্দুল মান্নান এর আগে বিভিন্ন মসজিদে ইমামতি করেছেন। ছাত্র জীবনেই তার ইমামতি শুরু হয়। জানা যায়, ১৯৮৫ সনে তিনি যখন নালিতাবাড়ী সিনিয়র ফাযিল মাদরাসায় ৮ম শ্রেণিতে পড়তেন তখন ছালুয়াতলা গ্রামে হাজী আব্দুল জব্বার সাহেবের বাড়িতে লজিং থাকাবস্থায় উঠোন জামাতে ইমামতি করতেন। এর আগে তার গ্রামের বাড়ি হালুয়াঘাটের পূর্ব নড়াইলে বালেগ হওয়ার পর থেকেই বিভিন্ন সময় তিনি নামাজে ইমামতি করেছেন। ১৯৯২ সনে তিনি উপমহাদেশের অন্যতম ইসলামী বিদ্যা পীঠ ছারছীনা দারুস সুন্নাত আলিয়া মাদরাসায় ফাযিল জামাতে ভর্তি হন। সেখানে এক বছর ছাত্রাবাসে থাকার পর মাদরাসার অদূরে উত্তর জগন্নাথকাঠী হাজী আব্দুর রহমান জামে মসজিদে ইমাম ও খতীবের পদ লাভ করেন। তার আগে ফুলপুর মহিলা কামিল মাদরাসার বর্তমান ভাইস প্রিন্সিপাল মুফাসসিরে কুরআন সাবেক জুলফিকার শিল্পী গোষ্ঠীর সদস্য ও ছারছীনা ছাত্র সংসদের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা শফীকুল ইসলাম ওই মসজিদে ইমামতি করতেন। এরপর ছারছীনা মাদরাসার পাশে কাজী বাড়ি জামে মসজিদে ইমাম ও খতীব পদে দায়িত্ব পালন করেছেন। তারপর ১৯৯৫ সনে কামিল হাদীস পাস করার পর বরিশাল জেলায় চরমোনাই ইউনিয়নে শালুকা দাখিল মাদরাসার ভারপ্রাপ্ত সুপারের দায়িত্ব পালনকালীন পার্শ্ববর্তী ডিঙা মানিক জামে মসজিদের ইমাম ও খতীব ছিলেন তিনি। তারপর ১৯৯৭ সনে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে মাশরিকী জুট মিলস হাফিজিয়া মাদরাসায় শিক্ষকতা করাকালীন হাফেজ মাওলানা আব্দুল হক ইমামতি থেকে বিদায় নেওয়ার পর শায়খুল হাদীস আল্লামা মুফীজুদ্দীন দামাত বারাকাতুহুম যোগদানের আগ পর্যন্ত বেশ কয়েক মাস তিনি ওই মসজিদে ইমামের দায়িত্ব পালন করেন। এরপর দিউ বায়তুস সালাম জামে মসজিদের ইমাম ও খতীব পদে তিনি প্রায় ৭ বছর দায়িত্ব পালন করেছেন। এবার গত ২৫ ডিসেম্বর বাইতুন নূর জামে মসজিদের নিবেদিত প্রাণ ইমাম ও খতীব হাফেজ এমদাদুল ইসলাম ইন্তেকালের পর আজ তাকে ইমাম ও খতীব পদে চূড়ান্ত করা হয়। এর আগে এমদাদ হুজুর অসুস্থ থাকাকালীন তিনি খন্ডকালীন ইমামতি করে আসছিলেন। মাওলানা আব্দুল মান্নান সাহেব ব্যক্তি জীবনে ৩ মেয়ে ও ২ ছেলে সন্তানের জনক। দায়িত্ব পাওয়ার পর তার অভিব্যক্তি জানতে চাইলে এ প্রতিবেদককে তিনি বলেন, আলহামদুলিল্লাহ। ইমামতি মহান একটি দায়িত্ব; যা নবী রাসূলগণ বা সাহাবায়ে কেরাম পালন করে গেছেন। এমন দায়িত্ব পাওয়া ভাগ্যের ব্যাপার। তিনি আগেও এ ধরনের দায়িত্ব পালন করেছেন উল্লেখ করে বলেন, আমাকে চূড়ান্তভাবে এ মসজিদের দায়িত্ব দেওয়ায় প্রথমেই মহান আল্লাহ তায়ালার নিকট শোকরিয়া জ্ঞাপন করছি। এছাড়া মসজিদ কমিটির নিকট কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। দায়িত্ব যাতে সঠিকভাবে পালন করতে পারেন এ ব্যাপারে তিনি মসজিদ কমিটি, মুসল্লীয়ানে কেরাম ও সংশ্লিষ্ট সকলের দোয়া ও সহযোগিতা কামনা করেন।