নিজেস্ব প্রতিবেদকঃ ময়মনসিংহের ফুলপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সাপ্তাহে সিজার ২দিন রবি ও মঙ্গলবার এবং করোনা ভাইরাস এর ভ্যাকসিন বা কোভিড-১৯ এর টিকা পেলো প্রায় সাড়ে ৪ লাখ মানুষ।
হাসপাতাল সূত্রে ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. জায়েদ মাহবুব খান সংবাদকর্মী তপু রায়হান রাব্বি কে জানান, করোনার বা কোভিড-১৯ টিকার শুরু থেকে ২৬শে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ১ম ডোজ ২ লাখ ৫৫ হাজার ৫৯৭টি, ২য় ডোজ ১ লাখ ৪৯ হাজার ৫৪৯টি এবং বুস্টার ২৩ হাজার ৪৩টি মোট ৪ লাখ ২৮ হাজার১৮৯টি টিকা প্রদান করা হয়েছে ফুলপুরের জনগণকে। এছাড়াও সিসি ক্যামেরার মাধ্যমে ২৪ ঘন্টা নজর রাখছেন হাসপাতাল এ কেমন সেবা পাচ্ছে জনগণ ডিউটি রত ডাক্তারের কাছ থেকে । নরমাল ডেলিভারি, নরমাল সিজার এবং বিভিন্ন ছোটখাটো অপারেশন হচ্ছে। গত ১লা ফেব্রুয়ারি থেকে সাপ্তাহে ২দিন রবি ও মঙ্গলবার সিজারিয়ান অপারেশন করানো সহ শুক্রবার বাদে প্রতিদিনি বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা হাসপাতালে মধ্যে এবং যেসব পরীক্ষা হাসপাতালে নেই সেগুলো বাহির থেকে করেন রোগীরা। হালুয়াঘাট, ধোবাউড়া, নকলা, তারাকান্দা সহ ফুলপুর উপজেলার জনগণ এ হাসপাতাল থেকে বিভিন্ন চিকিৎসা সেবা নিয়ে থাকেন। ৫০ শয্যা এ হাসপাতালে মাঝে মধ্যে হিমশিম খেতে হয় জায়গা বা ব্যাড কম থাকায়। এছাড়াও ঔষধেরও হিমশিম খেতে হয়। কেননা ঔষধের তুলনায় রোগীর পরিমাণ বেশি থাকে। বহিঃবিভাগে প্রতিদিন ১,৫০০-২,০০০ রোগীদেখচ্ছে কর্তবরত ডাক্তারগণ ।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডা.প্রাণেশ চন্দ্র পন্ডিত জানান, যারা রাত্রে হাসপাতালে ডিউটি করেন তারা সকালে বহিঃবিভাগে ডিউটি করতে পারেন না। এক্ষেত্রে অনেক সময় ডাক্তারের সংকট দেখা দেই। তবে বিভিন্ন পদে আরো কিছু ডাক্তার নিয়োগ হলে এ সংকট থাকবে না বলে আশা করছি ।
হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা সেবা নিতে আসা আয়েশা, ফিয়োজা, আকবর সহ অনেকেই জানান, এ হাসপাতালে চিকিৎসা সেবা অনেক উন্নত হয়েছে। ঔষধ সহ বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা এখন হাস্পাতালেই পাওয়া যায়। তবে মাঝেমধ্যে ডাক্তারের সংকট দেখা দেয়।