নিজস্ব প্রতিবেদক:
ময়মনসিংহের ফুলপুরে ১ম বারের মত শশা চাষে করে বাম্পার ফলন উৎপাদন করেছেন কৃষক মোঃ নূরুল আমীন। ১২টি ধাপে শসা তোলে বিক্রয় করে ফেলেছেন প্রায় ৭ লাখ টাকা। এ নিয়ে কৃষি উৎপাদনে জনগণের মনে সাড়া ফেলেছেন। জায়গা করে নিয়েছেন গণমাধ্যম সোশ্যাল মিডিয়ায়।
জানা যায়, উপজেলার পয়ারী ইউনিয়নের কৃষক মোঃ নূরুল আমীন প্রায় দু’বছর ধরে শসা করবেন বলে উৎসাহিত হন। তবে প্রথমবারের মতো বলে বারবার পিছিয়ে পড়লেও অবশেষে কামরুল ও শফিকুল এ দুইজনকে শরিক নিয়ে মহান সৃষ্টিকর্তার রহমতে ১৩ কাটা (১০৪ শতাংশে) ফসলের জমিতে শসার বীজ তলা তৈরি করে ৪ জানুয়ারি রূপন করেন। আর প্রথম ধাপের শসা ৭ মার্চ উত্তোলন করে বাজারে তোলা হয়। এক এক করে ১২টি ধাপে শসা উত্তোলন করা হয়। বৃহস্পতিবার ১৩ তম ধাপের শসার উত্তোলন করা হবে বলে জানান।
কৃষক মোঃ নুরুল ইসলামের ছেলে তপু রায়হান রাব্বি জানান, উক্ত জমিতে সব মিলে প্রায়ই খরচ হয়েছে ১ লাখ ২০ হাজার টাকার মত। ১২টি তোলানে শসা বিক্রি হয়েছে প্রায় ৭ লাখ টাকা মত। শসা ক্ষেত দেখে বুঝা যাচ্ছে আরো ৩ থেকে ৪ বার তোলা যাবে। তিনি আরো বলেন, শশা চাষ করবার মূল বিষয় হলো, উৎপাদন কম থাকায় যে পরিমাণে কৃষি ফসলের পণ্যের দাম বৃদ্ধি পাচ্ছে যেন আকাশ ছোঁয়া। এতে করে মধ্যবিত্ত ও নিম্নআইয়ের মানুষ গুলো ক্রয় করে খেতে খুব কষ্ট হয়ে পড়ছে। না পারছে অন্যের ক্ষেতে কাজ করে খেতে, না পারছে জমানো টাকা ভেঙে খেতে।
আর জনগণের ঘাটতি পূরণ সহ কৃষকদের উৎসাহিত করতে চাই যেন তারাও শশা বা কৃষি চাষে উদ্বৃত্ত হয়। পাশাপাশি কিসে চাষ করে আপনি লাভবান হবেন।
২৭শে মার্চ বুধবার উক্ত শসা ক্ষেত পরিদর্শন করেন, উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা কামরুল হাসান কামু, উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা সাজ্জাদুল ইসলাম মাহফুজ প্রমূখ।
এ সময় উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা শশা গাছ টিকিয়ে ও রোগমুক্ত রাখতে বিভিন্ন পরামর্শ দেন। এছাড়াও উক্ত সময় শেষ হয়ে গাছ মারা গেলে কি লাগানো যায় এ বিষয়েও পরামর্শ দেন। আর বলেন কচু লতা, ঝিঙ্গা। তবে আবারো শসা লাগালে ভালো করে চুন ও বেসিং ছুডা ভালো ভাবে ব্যবহার করে জীবাণু ধ্বংস করে হবে। সর্বশেষে তিনি বলেন, আপনাদের এর সফলতা জনগণকে উৎসাহিত করে শশা চাষ সহ কৃষি উৎপাদন কৃষকরা ভাড়াবে আশা করি। আমরাও সব সময় পরামর্শ দিতে প্রস্তুত আছি। আপনারা কৃষি বিষয়ে যেকোনো সময় যে কোন পরামর্শ নিতে আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন।