সেলিম রানা, বিশেষ প্রতিনিধিঃ দেশে বোরো ধান কাটার সময় চলছে। বোরো ধানে কৃষক বেশ ভালো ফলনের আশা করলেও ছত্রাক জাতীয় রোগে ধানখেত নষ্ট হওয়ায় সেই প্রত্যাশা আর থাকছে না।
ময়মনসিংহের ফুলপুর উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে ঘুরে দেখা গেছে, বোরো ধানের বাম্পার ফলন হলেও কৃষক মরিয়া হয়ে ঘুরছে শ্রমিক সংকটে। ন্যায্য মজুরি দিয়েও সময় মতো শ্রমিক পাচ্ছে না তারা।
ছনধরা গ্রামের কৃষক আলম মিয়া জানান , এত কষ্ট করে রোদে পুড়ে, বৃষ্টিতে ভিজে আবাদ করেছি। নিজস্ব শ্রমের কোনো মূল্য ধরা হয়নি। যেমন- জমির আইল বাধা, সার ছিটানো, কীটনাশক স্প্রে করা ইত্যাদি। অতিরিক্ত বিদ্যুতের খরচ, তেল ডিজেলের বাড়তি দামেও আজ কৃষক পাচ্ছে না সময় মতো শ্রমিক এবং ধানের ন্যায্য মূল্যও। বর্তমানে একজন শ্রমিকের মজুরি রয়েছে সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত রোজ প্রতি এক হাজার থেকে ১৩০০ টাকা।
অন্যদিকে চুক্তি হিসেবে প্রতি ১০ শতাংশ বা এক কাঠা জমির ফসল কাটলে তাদের দিতে হচ্ছে এক হাজার থেকে তেরোশ টাকা।
আবার বাড়িতে তোলার পরে ধানমাড়াই কলে প্রতি কাঠা ১৫০ টাকা করে দিতে হচ্ছে। পরে বাজারে ধান বিক্রি করতে গেলে ধান ব্যাপারীরা ধান দেখে নানা রকম টাল বাহানা করে এবং শেষে ধানের দাম প্রতি মন ছয় শত টাকা থেকে ৭০০ টাকায় বিক্রি করছে কৃষকেরা।
এমতাবস্থায় কৃষক এখন নানান জটিলতায় ভুগছে। সময় মতো পাচ্ছে না শ্রমিক। এ যেন মরার ওপর খাঁড়ার ঘা। অতিরিক্ত টাকা দিয়েও মিলছে না শ্রমিক। অনেক খেতের ফসল পেকে শ্রমিকের অভাবে নষ্ট হচ্ছে, বাতাসে বৃষ্টিতে কাঁদায় ঝড়ে নষ্ট হয়ে নুয়ে পড়ছে।
উপজেলার সিংহেশ্বর, ভাইটকান্দি, রামভদ্রপুর, রুপসী, বালিয়া, বওলা, ফুলপুর, রহিমগঞ্জ, পয়ীর, ছনধরা
ইউনিয়ন গুলোর চিত্র একই রকম।
অপর দিকে আবহাওয়ারও বৈরী। যেকোনো সময় ঝড়ো হাওয়া সহ শিলা বৃষ্টির ভয় পাচ্ছেন কৃষকেরা