নিজস্ব প্রতিবেদক:পুলিশ সপ্তাহে আরো একটি বিশেষ অবদান রাখছেন ফুলপুর থানা পুলিশ। দুই ভাইয়ের মাঝে দীর্ঘদিনের জমি সংক্রান্ত বিরোধের সমস্যা সমাধান করেছেন সকলের প্রিয়মুখ অসহায় মানুষের স্বপ্ন পূরণের প্রতীক ফুলপুর থানার সেকেন্ড অফিসার(এসআই) মোঃ মেহেদী হাসান সুমন।জানা যায়, কয়েক বছর ধরে তফসিল মৌজাঃ তিলাটিয়া জেএল নং ১১০, খতিয়ান নং হাঃ ৯৬২,৯৫৬ হাঃ দাগ ৩ এর ৭২.৩৭ শতাংশ এবং খতিয়ান নং হাঃ ৯৫৬ হাঃ দাগ ৭ এর ১০.০০ শতাংশ জমি নিয়ে ঝগড়াঝাটি লেগেই থাকতো ফুলপুর থানাধীন রহিমগঞ্জ ইউনিয়নের তিলাটিয়া গ্রামের মরহুম ওয়াহেদ আলীর সহজ সরল দুটি ছেলে আব্দুল রহিম ও আব্দুল রশিদের। এ নিয়ে স্থানীয় গনমান্য ব্যক্তিবর্গের মাধ্যমে কয়েকটি সালিশ দরবার হয়। তবে কোনো সুফল পাওয়া সম্ভব হয়নি।পরে ভুক্তভোগী শরণাপন্ন হয়ে আইনি আশ্রয় নিতে ফুলপুর থানার দক্ষ, চৌকস এবং জনবান্ধব পুলিশ অফিসার এসআই মোঃ মেহেদী হাসান সুমন এর কাছে যান।তার পরে দু’পক্ষেকে সাথে নিয়ে বিষয়টি নজরে এনে জনপ্রতিনিধি ও গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গদের নিয়ে দলিল অনুযায়ী বিষয়টি সূক্ষ্মভাবে সমাধান করেন এবং দু পক্ষকে সাথে রেখে গত ১ মার্চ শুক্রবার বিজ্ঞ আমিন দিয়ে জমির অংশ মেপে বুঝিয়ে দেন।তিনি ময়মনসিংহ জেলার মান্যবর পুলিশ সুপার জনাব মাছুম আহাম্মদ ভূঞা, পিপিএম মহোদয় ও ফুলপুর থানা ময়মনসিংহ ওসির দিকনির্দেশনায় দীর্ঘদিন ধরে সুনামের সাথে গুরুত্বপূর্ণ মামলার রহস্য উদঘাটন, অপরাধ নিয়ন্ত্রণ, দক্ষতা, সততা ও শৃঙ্খলা মূলক আচরণের মাধ্যমে প্রশংসনীয় অবদানের জন্য পেয়েছেন বিভিন্ন মহল থেকে সম্মাননা। ভুক্তভোগী আব্দুল রহিম ও তার স্ত্রী হামিদা খাতুন দু’চোখে অশ্রু নিয়ে বলেন, সুমন স্যার না থাকলে আমাদের জমি কখনোই ফিরে পেতাম না ? নামাজ পড়তাম আর আল্লাহর কাছে বলতাম, হে আল্লাহ আপনি সব পারেন আমাদের জমিটা ফিরিয়েদেন। মনে হয় মহান আল্লাহ্ আমাদের কথা শুনেছেন। এ নিয়ে ১২টি দরবার হয়েছে কিন্তু কোন সমাধান দিতে পারেননি কেউ। দোয়া করি সুমন স্যার বেঁচে থাকুক হাজার বছর। উনি সত্যিই একজন মহৎ ব্যক্তি। ওনাদের সঠিক বিচারে আজ আমরা আমাদের জমি ফিরে পেয়েছি।সঠিক বিচারে মাধ্যমে গত সোমবার সহোদর দুই ভাইকে আপোষ করে দেওয়ায় স্থানীয় গনমান্য ব্যক্তিবর্গ সহ এলাকাবাসী আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন ফুলপুর থানার বিজ্ঞ সেকেন্ড অফিসার মেহেদী হাসান সুমন কে।