নিজস্ব প্রতিবেদক।। ময়মনসিংহের ফুলপুরে বরবাইদ বিলের জলাবদ্ধতা দূরীকরণে খাল খনণের দাবীতে মানববন্ধন করেছেন পয়ারী ও রহিমগঞ্জ ইউনিয়ন বাসী।
জানা যায়, উপজেলার পয়ারী ইউনিয়নের পয়ারী দ্বিতীয় খন্ড গ্রামের (সরকারি খাস জমি) বরবাইদ বিল বিষয়ক ফুলপুর প্রশাসন কর্তৃক গৃহীত সিদ্ধান্ত সমূহের অনতিবিলম্বে বাস্তবায়ন ও জলাবদ্ধতা দূরীকরণে খাল খননের দাবীতে ৯ই জানুয়ারি রোজ রবিবার দুপুরে ময়মনসিংহ টু শেরপুর মহাসড়কের ফুলপুর গোলচত্তরে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।মানববন্ধন শেষে ফুলপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেন অত্র এলাকাবাসী।
উক্ত জলাবদ্ধতায় দীর্ঘদিন ধরে ভুক্তভোগীদের পক্ষে মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন মোঃ হাফিজ উদ্দিন চৌধুরী, মোঃ আব্দুর রশিদ সরকার, মোঃ শাহজাহান এবং মোঃ রাশেদুল ইসলাম আপেল সহ এলাকার যুবক ও মুরুব্বিয়ান।
বক্তব্যে বলেন, গত ৮-১০ বছর ধরে জলাবদ্ধতায় বিভিন্ন ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে আসচ্ছে প্রায় ১শ একর জমির কৃষকরা।
চতুর্পাশে ফিসারি এবং লোদ সহ বিভিন্ন আবর্জনায় খাল ভরাট হয়ে যাওয়ায় পানি নিষ্কাশন হতে পারে না। এতে করে পানির নিচে তলিয়ে যায় শত শত ফসলের জমি। নষ্ট হয়ে যায় রাস্তাঘাট। বর্ষার সিজনে সবুজ সোনালী ফসল তলিয়ে যায় ঘরে তোলার আগেই মাঠে। সঠিকভাবে ফসল উৎপাদন করতে না পারায় একটি বড় ধরনের ক্ষতি হয়ে যায় কৃষকদের। তার কারণ শুধু একটি জলাবদ্ধতা। ব্যে বক্তব্যে আরো বলেন উপজেলা প্রশাসনের সাথে বারবার যোগাযোগ করেও আবেদন করেও কোনও লাভ হচ্ছে না উপজেলা প্রশাসন পুরোপুরি গরিমশি করছেন, দিচ্ছি, করে দিব বলছেন। এখন শুকনো মৌসুমে যদি কাজটি করতে না পারে তাহলে জলাবদ্ধ সময় আবারও বড় ধরনের দাঙ্গা-হাঙ্গামা হতে পারে। এসব কথা তুলে ধরেন এ মানববন্ধনে
আরো জানা যায়, গত দুই বছরে দুইবার দুই বর্ষাকালে ২ জলাবদ্ধতায় উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ আতাউল করিম রাসেল, উপজেলা নির্বাহি অফিসার জনাব শীতেষ চন্দ্র সরকার, উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহবায়ক ও সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মোঃ হাবিবুর রহমান হাবিব, বর্তমান উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আনিছুর রহমান আনিছ, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি সহ উক্ত জায়গাতে ভিজিট করেন এবং তৎক্ষনিক জলাবদ্ধতা দূরীকরণের জন্য বেদখলকৃত সরকারি খাস জমির উপরে নির্মিত জলাশয় কেটে দেন। এছাড়াও তখন সিদ্ধান্ত হয়েছিল শুকনার সময় এই দখলকৃত সরকারি জমিতে ব্যক্তিগত ফিশারি গুলোর পাড় কেটে সরকারি জমিতে সরকারি খাল বরাবর পুনরায় খাল খনন করা হবে। অবৈধ স্থাপনা সরানো হবে পানি প্রবাহ নিশ্চিত করা এবং রাস্তা কে পুকুরের পাড় না বানিয়ে ১০ ফুট রেখে নতুন পার বানানোর জন্য যে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছিল এবং সরকারি খাস জমির উপর দিয়ে যেদিন থেকে দিক দিয়ে খাল দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে সেদিকে খাল খনন করা হবে তার বাস্তবায়ন কোনমতেই বর্তমান প্রশাসনের সাথে যোগাযোগ করেও সম্ভব হচ্ছেনা।
সেই ধারাবাহিক ফলশ্রুতিতে অত্র ইউনিয়নের
ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকসহ এলাকাবাসী রবিবার দুপুরে ফুলপুরে মানববন্ধন করেন এবং উপজেলা প্রশাসন বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেন।