নিজস্ব প্রতিবেদক।। থানা প্রাঙ্গণে আগাছা ও ময়লার স্তুপে খালি পড়ে থাকা জায়গা, এখন অপরূপ সৌন্দর্যে কেড়ে নিল মানুষের মন। উত্তর ময়মনসিংহ জেলার সর্বপ্রথম ময়মনসিংহের ফুলপুর থানায় সূর্যমুখী বাগান তৈরি করা হয়েছে। ধীরে ধীরে প্রায় ফুটে শেষের দিকে সূর্যমুখী বাগানের ফুল।
অপরূপ সৌন্দর্যময় সূর্যমুখী ফুল দেখতে ভিড় জমাচ্ছেন প্রতিদিনি দর্শনার্থীরা।
সূর্যমুখী বাগান তৈরি করতে উদ্যোগ নেন ফুলপুর থানার মানবিক ওসি মোঃ আব্দুল্লাহ আলা মামুন সহ থানার কর্মরত অনেক পুলিশ অফিসার। তবে সূর্যমুখী ফুলের বাগানটি যে মানুষের মন এভাবে কেড়ে নেবে তা কল্পনাও করতে পারেননি তারা।
অনেক দর্শনার্থীরাই জানান, আমার জীবনের এই প্রথম দেখতে পেলাম থানাপ্রাঙ্গণে সূর্যমুখী ফুলের চাষ। এতে করে থানার সৌন্দর্য বেড়েছে। শুধু ফুল চাষ করেই সৌন্দর্য বৃদ্ধি পাইনি? মোঃ আব্দুল্লাহ আল মামুন মহোদয় যেদিন থেকে যোগদান এ থানায় যোগদান করেছেন এর এক সপ্তাহ পর থেকেই থানা নতুন রূপে নিয়ে এসেছেন। ওসির রুমসহ যেন সকল রুমেই লাগিতেছে আধুনিকের ছোঁয়া, কমেছে দালাল। কাজকে মূল্যদিচ্ছে পলিশ, অসহায় মানুষ তাৎক্ষণিক সেবা পাচ্ছে ৯৮% পার্সেন্ট। আরও বলেন আমরা ফেসবুক পোস্টে দেখে এখানে ছবি তুলতে এসেছি। ছবিগুলো অনেক সুন্দর হয়েছে। তাই উদ্যোগতাদেরকে অসংখ্য ধন্যবাদ। তবে কিছু কিছু জায়গায় দেখা গেছে ফুল ছেড়া। তাই এ বিষয়ে কর্তৃপক্ষের আরো কঠোর নজরদারিতে রাখার জন্য অনুরোধ জানাচ্ছি। কেননা গাছের ফুল গাছেই সুন্দর হাতে নয় ।
ফুলপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আব্দুল আল মামুন জানান, আনুমানিক প্রায় ৫ কাঠা জায়গা পড়েছিল আগাছা ও ময়লা-আবর্জনার স্তুপে। দেখতেও বিশ্বি দেখা গেছিল। পড়ে সামনে থাকা বৈঠক/দরবার খানা ভেঙে গাড়ি রাখার গ্যারেজ তৈরি করি এবং থানার পুরাতন বিল্ডিং মেরামত করে বৈঠকখানা তৈরি করি। অব্যবহৃত পড়ে থাকা ময়লা আবর্জনার জায়গা পরিস্কার করে মাটি কাটে শাক সবজি লাগানো হয়। বাকি ২০শতাংশ জায়গায় সূর্যমুখীর চারা রোপন করা হয়। এতে উৎসাহ ও সহযোগিতা করেন থানায় কর্মরত সকলই । তবে এসব বাগানে সবচেয়ে বেশি খেটেছেন সকলের প্রিয় কনস্টেবল মোঃ নজরুল ইসলাম।
এ বিষয়ে কনস্টেবল মোঃ নজরুল ইসলাম জানান, আমার এসব কাজ খুব ভালো লাগে। অবসর সময় পেলেই আমি এসব গাছগুলোর যত্ন নেই। যখন গাছগুলো সুন্দর হয়ে ফল, ফুল এবং কি শাকসবজি হয় তখন যে আমার কেমন লাগে তা বলে বুঝতে পারব না। লোকজন যখন থানায় এসে সূর্যমুখী গাছের ফুল দেখে ও ছবি তুলে তখন খুব ভালো লাগে। ছুটিতে আমার বাড়িতে গেলেও শাকসবজি লাগায়।
সূর্যমুখী ফুলের বাগান এসে দেখার জন্য আমন্ত্রণ।