আতিকুর রহমান রবিন, বিশেষ প্রতিনিধিঃ ছেলেটার নাম সা’দ, বয়স ২১ বছর, একটা মেয়ের সাথে তার সম্পর্ক ছিল। সেই মেয়ের পিছনে উড়িয়েছে বহু টাকা। কখনো ঋণ করে, কখনো বাপের পকেট আত্মসাৎ করে। তার মা বিষয়টি জানার পর মনোমালিন্য শুরু হয়। মায়ের সদুপদেশ যেন বিষ। প্রায় ঝগড়া হতো। সেদিন সকালেও মায়ের সাথে ঝগড়া করে সে বেড়িয়ে যায়।দুপুরে ফিরে দেখে মা সবজি কুটছেন। ছেলেটা পিছন থেকে শ্বাসরুদ্ধ করে মা’কে মেরে ফেলে। তারপর ডিপে রেখে আলমারিসহ বিভিন্ন জিনিস ভেঙ্গে ডাকা’তির চিহ্ন রেখে চলে গেলো। ক্লাস শেষে বাড়িতে ফিরে এমন ভাব করলো, যেন সে মাত্র এখন এসেছে। আর ঘটনাটি ছড়লো ডাকা’তি হয়েছে বলে। কিন্তুু সত্য কখনো চাপা থাকে না।আমি ভাবছি সেই অসহায় মায়ের কথা। সন্তানের থেকে এতো অপমান সহ্য করে আবার সেই সন্তানের জন্য তিনি রান্নার আয়োজন করছিলেন। ছেলেটাকে ফিরতে দেখে ছেলের খিদে লেগেছে বলে কি উতলা হয়েছিলেন?ছেলে যখন মুখ চে’পে ধরলো, তখন মায়ের চোখ কী ভেবেছিল? যে সন্তানকে তিনি গর্ভে ধারণ করেছিলেন, নিজের হাতে বড় করে তুলেছিলেন, এবং সবকিছু শিখিয়েছিলেন, সেই সন্তানের হিংস্র ভাব তাকে কতটা কষ্ট দিয়ে দুনিয়া থেকে বিদায় করে দিলো ?মৃত্যুর যন্ত্রণার থেকেও বোধহয় মা বেশী যন্ত্রণা পেয়েছিলেন ছেলের বিশ্বাসঘাতকতায়। নিজের হাতে-গড়া সন্তানের হাত যখন মায়ের গ’লা চে’পে ধরলো, তখন সেই মায়ের জগত এমনিও ফুরিয়ে এলো। বোকা মা! অথচ, সব ভুলে তুমি সেই সন্তানের জন্য রাঁধতে বসেছিলে।