সঞ্জয় ব্যানার্জী,পটুয়াখালী প্রতিনিধি।। পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলা সদরের লুৎফর রহমানের বাড়ি থেকে খানকা পর্যন্ত ১হাজার ১শ’ ২০ মিটার এবং চরহোসনাবাদ বাজার থেকে আব্দুর রসিদ তালুকদার সরকারি ডিগ্রি কলেজ পর্যন্ত ৭শ’ ২৪ মিটার প্যাকেজে সড়ক পাকাকরণের জন্য ১ কোটি ৮৭ লাখ ৩৩ হাজার ৪৪৮ টাকার সড়ক পাকাকরণে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় এলাকাবাসীর পক্ষে মো. হাসান মোর্শেদ উপজেলা প্রকৌশলী বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছে।
অভিযোগে বলা হয়, এলাকাবাসী বার বার নিম্নমানের ইট, খোয়া, বালু, রড ও সিমেন্ট দিয়ে সড়ক ও খাল পাড়ের পাইলিংয়ের নির্মাণকাজ না করার অনুরোধ করলেও পটুয়াখালীর ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান শামিম আহসান এন্ড তানভির আহমেদ (জেভি) কর্ণপাত করছেন না।
এদিকে ২৯শে ডিসেম্বর উপজেলা প্রকৌশলী মো. মকবুল হোসেন সড়ক থেকে নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রী অপসারণের জন্য সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানকে লিখিত চিঠি দিয়েছেন। কিন্তু উপজেলা প্রকৌশলীর নিষেধ উপেক্ষা করে নির্মাণকাজ চালিয়ে যাচ্ছেন ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের শ্রমিকরা। দশমিনা উপজেলা সদরের লুৎফর রহমানের বাড়ি থেকে খানকা পর্যন্ত ১হাজার ১শ’ ২০ মিটার এবং চরহোসনাবাদ বাজার থেকে আব্দুর রসিদ তালুকদার সরকারি ডিগ্রি কলেজ পর্যন্ত ৭শ’ ২৪ মিটার প্যাকেজে সড়ক পাকাকরণের জন্য ১ কোটি ৮৭ লাখ ৩৩ হাজার ৪৪৮ টাকা বরাদ্দ দেয় এলজিইডি।
এ ব্যাপারে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের স্বত্বাধিকারী শামীম আহসানের মুঠোফোনে জানতে চাইলে বলেন, তিনি ব্যস্ত আছেন পরে কথা বলবেন। সড়কের নির্মাণকাজে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের পক্ষে তদারকির দায়িত্বে থাকা মনির হোসেন বলেন, ভূলে দুই গাড়ি নিম্নমানের ইট ঢুকে গেছে। পরে ভালো ইট দিয়ে নির্মাণকাজ করা হবে।
দশমিনা উপজেলা প্রকৌশলী মো. মকবুল হোসেন বলেন, নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রী দিয়ে সড়কের কাজ করার অভিযোগ পেয়ে সরজমিন পরিদর্শন করে ঘটনার সত্যতা পেয়ে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানকে কাজ বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছি। এ ছাড়া তাদেরকে লিখিত চিঠি দেয়া হয়েছে। এরপরেও তারা নির্মাণকাজ চালিয়ে গেলে তাদের বিল বন্ধ করে দেয়া হবে।