স্টাফ রিপোর্টার (নেত্রকোণা) আজ ১৭ই মার্চ (বৃহস্পতিবার) নেত্রকোণায় ইসলামিক ফাউন্ডেশনের আয়োজনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এঁর ১০২তম জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবস পালিত হয়েছে। সকাল ৯টা থেকে জেলার ইসলামি ফাউন্ডেশনের সকল কেন্দ্রের শিক্ষক ও আগ্রহী শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে কেরাত, হামদ-নাত, বঙ্গবন্ধুর জীবন, ৭ই মার্চের ভাষণ ও কর্মের উপর উপস্থিত বক্তৃতার আয়োজন শুরু হয়।
এতে জেলার ১০টি বিদ্যালয় ও ১০টি কেন্দ্রের মোট ৮৫জন শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেন। প্রত্যেক ক্যাটাগরিতে ক ও খ গ্রুপে মোট ২৪জন বিজয়ী হয়েছেন।
এরপর দুপুর বারোটায় পবিত্র কুরআন খতম, আলোচনা সভা, পুরস্কার বিতরণ ও দোয়া অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। শাহ মোহাম্মদ ফজলে রাব্বি এঁর সঞ্চালনায় ও ইসলামিক ফাউন্ডেশন, নেত্রকোণা জেলা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক জনাব শফিকুর রহমানের সভাপতিত্বে এতে প্রধান অতিথি ছিলেন নেত্রকোণার অতিরিক্ত পুলিশ সুপুর (পিপিএম) জনাব মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান জুয়েল এবং বিশেষ অতিথি ছিলেন নেত্রকোণা জেলাপ্রশাসকের কার্যালয়ের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জনাব সাইফুল ইসলাম। কুরআন খতম ও আলোচনা সভার পর তাঁরা বিজয়ী শিক্ষার্থীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন।
অনুষ্ঠানে সদরের ইসলামিক ফাউন্ডেশনের নওয়াপাড়া কেন্দ্রের প্রাক্ষণ শিক্ষার্থী হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ সমকালীন কবি পরিষদ সম্মাননা ও আন্তর্জাতিক গুণীজন সংবর্ধনাপ্রাপ্ত কবি মোঃ রাসেল হাসানও। ‘জ্যোৎস্নাধোয়া রাত’ কাব্যগ্রন্থ প্রকাশের পর আলোচিত এই কবি একসময়ের শিক্ষার্থী হিসেবে উপস্থিত বক্তৃতায় অংশ নেন। তার বই থেকে বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে কবিতার উপমা ও ছান্দসিক ভাষায় বঙ্গবন্ধুর জীবন ও কর্মের উপর অনবদ্য বক্তব্য দিয়ে উপস্থিত জনতার হৃদয় স্পর্শ করলেও অনুষ্ঠানে অতিথিদের হাত দিয়ে তিনি পুরস্কার পাননি। জানা যায়, অতিথিদের সময়ের স্বল্পতার কারণে অন্য ক্যাটাগরির নির্বাচিত প্রথম হওয়া প্রতিযোগীদের পুরস্কার দিয়ে অতিথিরা চলে যান। কবি মোঃ রাসেল হাসান বলেন, নব কিশলয়ে ছেঁয়ে গেছে প্রকৃতি। রক্তিম হয়ে ফুটেছে অশোক, শিমুল, পলাশ ও কৃষ্ণচূড়া। কোকিলের সুর ও অশান্ত পবন প্রকৃতিতে সৃষ্টি করেছে মোহনীয় রূপ। এই ধ্রূপদী ঋতুর চারু দিনে তোমার (বঙ্গবন্ধুর) জন্মদিন। তোমার জন্মদিন বলেই প্রকৃতিতে এত আয়োজন।”
জনাব মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান জুয়েল তাঁর বক্তব্যে বলেন, “বঙ্গবন্ধুর যদি জন্ম না হতো তাহলে বাংলাদেশের জন্ম হতো না”। জনাব সাইফুল ইসলাম হুজুরদের উদ্দেশ্যে বলেন, ” আমার মনে হয় আপনাদের কথা জনগণ আমাদের চেয়ে বেশি মানেন। আপনারা আপনাদের বিভিন্ন আলোচনায় যদি বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধকে তুলে ধরেন তাহলে সাধারণ মানুষ মুক্তিযুদ্ধের তাৎপর্য আরো বুঝবে, জানবে, দেশপ্রেমে উদুদ্ধ হবে”। জনাব শফিকুর রহমান বলেন, “যতকাল রবে চন্দ্র সূর্য আসমান- জমিন বহমান /ততকাল রবে কীর্তি তোমার শেখ মুজিবুর রহমান”। অনুষ্ঠিত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান সম্পর্কে মোহাম্মদ ফজলে রাব্বি বলেন, “অপ সংস্কৃতি রোধ করতে হামদ-নাত ও কেরাত আয়োজন করা হয়েছে”।
অনুষ্ঠান শেষে আয়োজকরা উপস্থিত সবার প্রতি ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান।