বাবুল সিকদার ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রতিনিধি: ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে উত্তর ধানতলিয়া আউয়াল কাউছার সরকারি প্রাইমারি স্কুলের নাম করে নিরীহ জনগণের জায়গা জবরদখলের পায়তারার অভিযোগ উঠেছে উত্তর ধানতলিয়া আউয়াল কাউছার সরকারি প্রাইমারি স্কুল পরিচালা কমিটির সভাপতি স্থানীয় এক প্রভাবশালীর বিরুদ্ধে। উপজেলার ধানতুলিয়া গ্রামের মৃত আউয়াল মিয়ার ছেলে কাউছার মিয়ার বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ করেন একই এলাকার বেশকয়েকজন নিরীহ ভুক্তভোগী জনগণ। এসব নিরীহ পরিবারকে অবৈধভাবে উচ্ছেদের হুমকি দেয়া হচ্ছে বলে তাদের অভিযোগ।
জানা যায় বিগত ২০১৬ সালে উপজেলার উত্তর ধানতুলিয়া গ্রামে আউয়াল কাউছার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যায় নামে একটি প্রাথমিক বিদ্যালয় স্থাপিত হয়। এতে কাউছার মিয়ার পিতা আউয়াল মিয়াসহ স্থানীয় লোকজন জমি দান করেন। ভুক্তভোগীরা জানান, বিদ্যালয়টি ধানতুলিয়া মৌজার ১১৪ ও ১১১ নং দাগে অবস্থিত হলেও কাউছার মিয়া গুজামিলের আশ্রয় নিয়ে ১২২ নং দাগে ৭ শতাংশ জায়গা স্কুলের নামে দলীল করে দেন। কিন্তু উক্ত জায়গা কাউছার নিজেই ভোগদখল করে রেখেছেন। অধিকন্তু, এলাকার অনেকেই বিদ্যালয়ের নামে জায়গা ও অর্থের জোগান দিলেও কাউছার চতুরতার আশ্রয় নিয়ে তার বাবা ও তার নাম জড়িয়ে বিদ্যালয়ের নামকরণ করেন। সাধারণ জনগণ তা বুঝে উঠতে পারেনি। ভুক্তভোগীরা জানান,বর্তমানে কাউছার স্কুলের আশেপাশের নিরীহ মানুষের জায়গা নিজে ভোগ করার উদ্দেশ্যে স্কুলের নাম করে জবরদখল করে নেয়ার পায়তারা করছে।
ভুক্তভোগী সোলোমান (সেলু মিয়া) জানান,আমি ঢাকায় বাদাম বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করি। একমাত্র ভিটেবাড়িই আমার সম্বল। স্কুলের বিরুদ্ধে আমাদের কোন অভিযোগ নেই। কিন্তু কাউছার স্কুলের নাম করে আমার বাড়ি দখলের পায়তারা করছে। আমাকে রীতিমত বাড়ি ছাড়ার জন্য হুমকি দিচ্ছে। মোঃ ইসরাইল মিয়া, মোঃ মাসুম,সফিল উদ্দিন, মুছন মিয়া,প্রমুখ ভুক্তভোগীরাও একই ভাষায় অভিযোগ করেন এ প্রতিবেদকের কাছে। তাদের অনেকেই এ ব্যাপারে আদালতে মামলা করেছেন বলে জানান। তাদের দাবি বিদ্যায়য়ের ভবন নির্মিত হয়ে বেশ কয়েক বছর যাবত পাঠদান চলছে। স্কুলের কোন সমস্যা নেই। তবে কাউছার নিজে স্কুলের নামে দলীলকৃত জায়গা নিজে ভোগদখল করে রাখার পরও স্কুলের নাম ব্যবহার করে নিরীহ মানুষের জায়গা দখলের পায়তারা করছে। তারা এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের যথাযথ আইনানুগ হস্তক্ষেপ কামনা করছেন।
তবে এ বিষয়ে স্কুল পরিচালা কমিটির সভাপতি কাউছার মিয়ার কাছে জানতে চাইলে বিষয়টি অস্বীকার করে তিনি বলেন,নিরীহ জনগণের জায়গা জবরদখলের পায়তারার অভিযোগ টি সঠিক নয়। তিনি জানান উনার বিরুদ্ধে যারা অভিযোগ ও মামলা করেছে তাদেরকে টাকা এবং জমির পরিবর্তে জমি দেওয়া হয়েছে। তারা এখন জমির দলিল করে না দিয়ে আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ এনেছে।