মোঃ জাহিদ হোসেন, দিনাজপুর প্রতিনিধি।। দিনাজপুরে প্রতিনিয়ত ঘটে চলছে একের পর এক সড়ক দূর্ঘটনা।অকালেই ঝড়ে পরছে অনেক তাজা প্রান।তবুও সড়ক দূর্ঘটনা রোধে নেই কোন সচেতনতা।
বাড়ী থেকে সুস্থভাবে বেড় হয়ে সুস্থমত বাসায় ফিরতে পারবে কিনা তার কোন নিশ্চয়তা নেই।মানুষের জীবন হয়ে গেছে এখন আস্তাকুড়ে সড়ক দূর্ঘটনায় পরে থাকা চতুষ্পদি প্রানীর মত।এমই সব মন্তব্য করেন সড়ক দূর্ঘটনার পর ঘটনাস্থলে এসে একাধিক প্রত্যক্ষদর্শী।
৫এপ্রিল দুপুর আনুমানিক ২টা ২০মিনিটে দিনাজপুর সদরের এম আব্দুর রহিম মেডিক্যাল কলেজের সামনে ট্রাকের চাপায় পিষ্ঠ হয়ে শৈলেন চন্দ্র রায় (২৪) নিহত হয়েছে। কৃষক শৈলেন চন্দ্র দিনাজপুর সদর উপজেলার ৫নং শশরা ইউনিয়নের শিবডাঙ্গা গ্রামের বিদেশ চন্দ্র রায়ের বড় ছেলে।তার বাবাও একজন দিনমজুর কৃষক। মৃতের বাবা ও স্থানীয় প্রত্যক্ষ্যদর্শীসুত্রে জানা যায় শৈলেন চন্দ্র তার বন্ধু চঞ্চল ও রুমানের সাথে মটরসাইকেল যোগে শশরা ইউনিয়ন থেকে শহরে আসছিল।মটরসাইকেল চালক ছিলেন চঞ্চল।আর মাঝে ছিলেন রুমান ও পিছনে বসে ছিলেন শৈলেন।তারা দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিক্যাল কলেজের দ্বিতীয় গেট সংলগ্ন স্পীড ব্রেকারে চালক জোরে ব্রেক করলে পিছনে বসে থাকা শৈকত মটরসাইকেল থেকে ছিটকে পরে।পথিমধ্যে ফুলবাড়ী থেকে ছেড়ে আসা একটি ট্রাক স্পীডে এসে স্প্রীড ব্রেকার পার হলে তার পিছনের চাকার নীচে শৈলেন পড়ে গেলে সাথে সাথে ট্রাকের চাকায় মাথা পিষ্ঠ হয়ে তার মৃত্যু হয়।তবে মটরসাইকেল চালক চঞ্চল ও রুমান সুস্থ রয়েছে।দিনাজপুর ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের সদস্যরা এসে লাস উদ্ধার করে।দিনাজপুর কোতয়ালি থানার অফিসার ইন চার্য মোঃ তানভীরুল ইসলাম ঘটনাস্থলে এসে ঘটনার সত্যতা স্কীকার করে প্রতিনিধিকে জানান মৃতদেহের পরিচয় সনাক্ত করে ময়নাতদন্তের জন্য লাশ মর্গে প্রেরন করা হয়েছে।তবে ট্রাকটি পালিয়ে যাওয়ায় এখনো তার সঠিক তথ্য পাওয়া যায়নি এবং দ্রুত ট্রাকটি চিহ্নিত করে যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনে কার্যকরি পদক্ষেপ নেয়া হবে বলে তিনি জানান।একটু সচেতনতাই পারে বড় ধরনের কোন অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার হাত থেকে রক্ষা করতে।