1. admin@dainikamaderphulpur.com : admin :
  2. chiran777@gmail.com : selim rana : selim rana
  3. info.popularhostbd@gmail.com : phulpur :
বৃহস্পতিবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৮:৩৬ অপরাহ্ন
শিরোনাম :

জুয়া মাধ্যমে বিদেশে অর্থ পাচার পটুয়াখালীতে দুই ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে

Reporter Name

সঞ্জয় ব্যানার্জী, পটুয়াখালী প্রতিনিধি।।
পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলা ছাত্রলীগের দুই নেতার বিরুদ্বে অনলাইন ভিত্তিক অ্যাপের জুয়ার মাধ্যমে বিদেশে অর্থ পাচারের অভিযোগ উঠেছে। আর এ অনলাইন ভিত্তিক জুয়া উপজেলার বিভিন্ন হাট বাজার-গ্রামগঞ্জসহ প্রত্যন্ত অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে। এসব জুয়ার টাকা বিভিন্ন মাধ্যমে বিদেশে চলে যাচ্ছে। এ নিয়ে ভুক্তভোগীদের পরিবারদের মাঝে এ চরম আতঙ্ক বিরাজ করছে।
কিশোর যুবক শিক্ষার্থী ও ব্যবসায়ীসহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ অনলাইন জুয়ার প্রতি আসক্ত হয়ে পরেছে। বিদেশ থেকে পরিচালনা করা অ্যাপগুলোর লোভনীয় লাভের প্ররোচনায় অনেক পরিবার নিঃস্ব হয়ে যাচ্ছে বলে খোঁজ নিয়ে জানা যায়।
জানা যায়, গত ৬ মাসের মধ্যে উপজেলার জুয়াড়িদের কাছে অনলাইনে জুয়া খেলা বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। ওয়ানএক্স বেট ও লাইন বেটসহ বিশেষ কিছু অ্যাপ ডাউনলোড করে মোবাইল ফোনেই খেলা যাচ্ছে জুয়া। এই জুয়ার মাধ্যমে বিশ্বের যে কোনো দেশের সংশ্লিষ্ট একাধিক গ্রাহকের সঙ্গে অনলাইনে জুয়া খেলার সুযোগ রয়েছে।
খেলা শেষে দেনা পাওনার লেনদেন নিষ্পত্তি করা হচ্ছে মোবাইল ব্যাংকিং নগদ, বিকাশ, রকেট ও ইউ ক্যাশের মাধ্যমে। এছাড়াও দশমিনা উপজেলা ছাত্রলীগের সহসভাপতি মাজিদ ওয়ান এক্স বেটের ও সরকারি আব্দুর রসিদ তালুকদার ডিগ্রি কলেজ শাখা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জায়েদ লাইন বেটের এজেন্টের ব্যবসা করছেন। তারা জুয়াড়িদের একাউন্ট খোলা ও টাকা লেনদেন করে বিশেষ কমিশনের মাধ্যমে। এক পর্যায়ে এসব অর্থ ব্যাংকিং চ্যানেলে ঢুকে বৈদেশিক মুদ্রায় রূপান্তর হয়ে বিদেশে চলে যাচ্ছে।
ওয়ানএক্স বেট ও লাইন বেটের পৃথক দুটি একাউন্ট খুলে দেখা যায়, স্থানীয় মুদ্রায় নগদে ক্যাশ বা মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে ওই দুই ছাত্রলীগ নেতার কাছে টাকা পাঠালে তারা তা অনলাইন অ্যাপে যুক্ত করে দেয়। সে টাকা দেশীয় মুদ্রায় অ্যাপে ভিউ হয়। ওই টাকা দিয়ে জুয়াড়ি আইপিএল, বিগ ব্যাশ, বিপিএল, এসপিএল, ফুটবল ও হকিসহ বিভিন্ন খেলায় জুয়ার বাজি ধরতে পারে।
বিভিন্ন ভাবে একটি ম্যাচে জুয়ায় অংশ গ্রহণ করা যায়। প্রতি বলে ও ওভারেও জুয়ায় অংশ নেয়া যায়। লাভ হলে সে টাকা ওই দুই এজেন্টের মাধ্যমেই উত্তোলন করা যায়। তবে এ ক্ষেত্রে লোকসানের সংখ্যাই বেশি।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক জুয়াড়ি বলেন, তিনি আগে ওই দুই অ্যাপের মাধ্যমে জুয়া খেলে বহু টাকা লোকসান দিয়েছেন। তার মতে এই জুয়ার মাধ্যমে দশমিনার বহু পরিবার নিঃস্ব হয়ে যাচ্ছে। তিনি দ্রুত অ্যাপগুলো বন্ধ করে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানান।
অভিযোগের বিষয় সরকারি আব্দুর রসিদ তালুকদার ডিগ্রি কলেজ শাখা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জায়েদ বলেন, আমি আগে এক ভাইয়ের মাধ্যমে এই অনলাইন জুয়ায় জড়িয়ে ছিলাম। এখন আর আমি এগুলোর সঙ্গে জড়িত না। অপর ছাত্রলীগ নেতা মাজিদের দাবি, তিনি এজেন্ট না।
এ ব্যাপারে দশমিনা থানার ওসি মো. মেহেদী হাসান বলেন, তাদের নজরদারি মধ্যে রাখা হচ্ছে। এ বিষয় তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে। দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

সংবাদ টি শেয়ার করুন

এ বিভাগের আরো সংবাদ
© All rights reserved
Design BY Raytahost