মোহাম্মদ বিপ্লব সরকার।। নদী পথকে নিরাপদ রাখতে চাঁদপুর থানা পুলিশ তাদের বিশেষ অভিযান অব্যাহত রেখেছে। পয়লা মার্চ থেকে ৩১ মার্চ পর্যন্ত চাঁদপুর নৌ থানা পুলিশ ৩৩ টি অভিযান পরিচালনা করে ৪১ কোটি ৬১ লাখ ৬ হাজার টাকা মূল্যের কারেন্ট জাল জব্দ করেছে। চাঁদপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ কামরুজ্জামান জানান, চাঁদপুরের নদীপথে চাঁদাবাজ, সন্ত্রাস, মাদক পাচারকারী ও যে নিষিদ্ধ সময়ে মাছ ধরতে না পারে সেজন্য আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। চলতি বছরের ১ মার্চ থেকে ৩১ মার্চ পর্যন্ত ৩৩ টি অভিযানে ৩৭ জনকে আটক করা হয়েছে। জব্দ করা হয়েছে নিষিদ্ধ কারেন্ট জাল ১ কোটি ৩৭ লাখ ২ শ মিটার। যা পরবর্তি সময়ে ম্যাজিস্ট্রেটের নির্দেশে ও উপস্হিতিতে আগুনে পুড়িয়ে বিনস্ট করা হয়েছে। এসব কারেন্ট জালের মুল্য ৪১ কোটি ৬১ লাখ ৬ হাজার টাকা।জাটকা ইলিশ জব্দ কা হয়েছে ৪ শ ৮৩ কেজি। চিংড়ি মাছ ১২ কেজি। ১৯ কেজি গাঁজা। ৮০ বোতল ফেন্সিডিল। ১৭ টি মাছ ধরার নৌকা। ১ টি লঞ্চ। ৯ টি ব্লাকখেড।১ টি স্প্রীড বোর্ড। ৩ টি ড্রেজার। ১ টি পিকাপ।৯০ মিটার বাধা জাল ও ১ শ ৫৭ কেজি নিষিদ্ধ পলিথিন। এসব মামলায় ৩৭ জনকে আটক করা হয়েছিল। তিনি আরো জানান, আমরা আইনের সেবক। তাই নদী পথে যে সব যাত্রী চলাচল করে তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আমরা বদ্ধ পরিকর। আমরা চাই চাঁদপুরের নদী পথে সকল অন্যায় অপরাধ দুর করতে চাঁদপুর নৌ পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
অপরদিকে চাঁদপুর হরিনা নৌ পুলিশ ফাঁড়ির পুলিশ সদস্যরা ১ মার্চ থেকে ৩১ মার্চ পর্যন্ত নদীতে ৭ টি অভিযান পরিচালনা করেছে। আটক করেছে ২৫ ব্যক্তি কে। সরকার ১ মার্চ থেকে ৩১ এপ্রিল পর্যন্ত চাঁদপুরের নদী সীমানার ১শ কিলোমিটার এলাকা কে ইলিশের অভয়াশ্রম হিসেবে ঘোষণা করেছে।
আর এ সময়ে নদীতে মার্চ – এপ্রিল এ দু মাস সকল প্রকার মাছধরার জাল ফেলা নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এ অভিযানে ৬ টি মাছ ধরার নৌকাসহ ৫৮ লাখ ৭৫ হাজার মিটার নিষিদ্ধ কারেন্ট জাল জব্দ করে আগুনে পুড়িয়ে বিনস্ট করা হয়েছে। তাছাড়া অবৈধ ভাবে হাইস মাইক্রোবাস যোগে বিষাক্ত জেলী মিশ্রীত ১হাজার ৪৪ কেজি চিংড়ি মাছ পাচার করার সময় হরিণা ফেরী ঘাটে আটক করা হয়।একই সাথে হাইস মাইক্রোবাসসহ ২ জনকে আটক করা হয়। নদীতে নিষিদ্ধ সময়ে স্প্রীড বোর্ড চলার কারণে ১ টি স্প্রীট বোর্ড আটক করা হয়।