মোহাম্মদ বিপ্লব সরকার: ঈদুল ফিতর শেষে কর্মস্থলে ফিরতে শুরু করেছে কর্মমুখি মানুষ। চাঁদপুর লঞ্চঘাটে ঢাকামুখী যাত্রীদের চাপ বেড়েছে। সকাল থেকে মধ্য রাত পর্যন্ত সিডিউলের লঞ্চগুলো পর্যাপ্ত সংখ্যক যাত্রী নিয়ে ঢাকার উদ্দেশ্যে চাঁদপুর লঞ্চঘাট ত্যাগ করছে।
চাঁদপুর-ঢাকা, চাঁদপুর-নারায়ণগঞ্জের মধ্যে চলাচলকারী নিয়মিত লঞ্চ ছাড়াও যাত্রীদের সুবিধার্থে অতিরিক্ত লঞ্চের ব্যবস্থা রেখেছে বন্দর কর্তৃপক্ষ। যাত্রীদের সার্বিক নিরাপত্তায় তৎপর রয়েছে প্রশাসন।
৮ মে রবিবার সকালে চাঁদপুর লঞ্চঘাটে গিয়ে দেখা গেছে, চাঁদপুরের সকল উপজেলা, লক্ষ্মীপুর, নোয়াখালী, শরীয়তপুরের বহু সংখ্যক যাত্রী চাঁদপুর লঞ্চ ঘাটের পন্টুনে অবস্থান করছে। তাদের নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে প্রশাসন, নৌপুলিশ, কোস্টগার্ড,স্কাউট সদস্য, আনসার বিডিপিসহ বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) কর্মকর্তারা।
রামগঞ্জের ঢাকায় গার্মেন্সে চাকুরিজীবী রাতুল ইসলাম বলেন, ঈদুল ফিতর উদযাপন করার জন্য গ্রামের বাড়িতে পরিবারের সাথে ঈদ উদযাপনের জন্য গিয়েছিলাম । পরিবারের সঙ্গে ঈদের সময়টাও ভালো কেটেছে। এখন কর্মস্থলে নিরাপদে যাওয়ার জন্য চাঁদপুর লঞ্চ ঘাটে এসেছি।
কচুয়া উপজেলার আরেক যাত্রী মাঈনুদ্দিন বলেন, করোনার জন্য গত দুবছর ঈদে স্ব পরিবারে একত্রে ঈদের আনন্দ উপভোগ করতে পারিনি।এ বছর করোনা না থাকায় বাড়িতে স্ত্রী, সন্তানকে নিয়ে বাবা-মায়ের সঙ্গে অনেক আনন্দ করেছি। বিশেষ করে শিশু সন্তানেরা বাড়িতে এসে খুবই মজা করেছে। এখন কর্মস্থলে যাওয়ার প্রত্যাশায় চাঁদপুর লঞ্চ ঘাটে এসেছি।
চাঁদপুর নৌথানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ কামরুজ্জামান বলেন, বৃহস্পতিবার থেকেই ঢাকাগামী যাত্রীদের চাপ কিছুটা বাড়তে শুরু করেছে। লঞ্চঘাটে আমাদের পুলিশ সদস্যরা নিয়মিত দায়িত্ব পালন করছে। এখন পর্যন্ত খুবই শান্তি-শৃঙ্খলার মধ্যে যাত্রীরা লঞ্চে যেতে পারছেন।কোনো ধরনের বাঁধা বিপত্বিতে পরতে হয়নি। লঞ্চ গুলোতে ধারন ক্ষমতার যাত্রী হলেই চাঁদপুর থেকে ছেড়ে যাচ্ছে।
চাঁদপুর বন্দর ও পরিবহন কর্মকর্তা এ কে এম কায়সারুল ইসলাম বলেন, ঈদুল ফিতর উদযাপন শেষে ঢাকাগামী যাত্রীদের চাপ বেড়েছে। বিআইডব্লিউটিএ, প্রশাসন, নৌপুলিশ, কোস্টগার্ডের সমন্বয়ে গঠিত কমিটি যাত্রীদের নিরাপত্তায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিয়েছে। আমাদের পর্যাপ্ত সংখ্যক লঞ্চ রয়েছে। যাত্রিরা আমাদের সহযোগিতা করলে তাদের গন্তব্যে পৌঁছাতে কোনো ধরনের সমস্যাই হবে না।
তিনি আরও বলেন, শনিবার ভোর থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত সদরঘাটের উদ্দেশ্যে চাঁদপুরঘাট ত্যাগ করেছে ১২টি লঞ্চ। নারায়ণগঞ্জের উদ্দেশ্যে ছেড়ে গেছে ১০টি লঞ্চ। মধ্য রাত পর্যন্ত লঞ্চ নির্গমন অব্যাহত থাকবে।