মোহাম্মদ বিপ্লব সরকার।। এ ঘটনায় গর্ভপাত ঘটানোর দায়ে হাসপাতালের এক আয়াসহ ৪জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (২৪ মার্চ) দুপুরে চাঁদপুরের পুলিশ সুপার কার্যালয়ে ঘটনার বিস্তারিত তুলে ধরেন পুলিশ সুপার মিলন মাহমুদ। সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন অর্থ) সুদীপ্ত রায়, জেলা বিশেষ শাখার কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক মনিরুল ইসলাম, হাজীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত (ওসি) মোহাম্মদ জোবায়ের সৈয়দ ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উপপরিদর্শক মহসিন কবির প্রমুখ। পুলিশ সুপার জানান, বৃদ্ধের এমন জঘন্য এবং অনৈতিক কাজের জন্য যারা সহযোগিতা করেছে, তাদেরও আইনের আওতায় নিয়ে আসা হয়েছে। একই সঙ্গে বৃদ্ধ এবং ঘটনার শিকার ১৪ বছরের কিশোরীর ডিএনএ পরীক্ষার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
তিনি জানান, এ ঘটনায় কিশোরীর মা বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে হাজীগঞ্জ থানায় একটি মামলা করেছেন। এতে অভিযুক্ত সিরাজুল ইসলাম ছাড়াও আরও তিন নারীকে আসামি করা হয়েছে। যারা শিশুটির গর্ভপাত ঘটানোর সঙ্গে জড়িত।
এর আগে ভোরে হাজীগঞ্জের হাটিলা পূর্ব ইউনিয়নের নিজ বাড়ি থেকে অভিযুক্ত সিরাজুল ইসলামকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
এ সময় সেখানকার একটি বসতঘর থেকে ঘটনার শিকার কিশোরীটিকে উদ্ধার করা হয়। পরে পুলিশ হাজীগঞ্জ বাজারে অভিযান চালিয়ে ইসলামিয়া হাসপাতাল নামে একটি প্রাইভেট ক্লিনিকের আয়া নাজমা বেগমকে গ্রেফতার করে। নাজমা অভিযুক্ত সিরাজুল ইসলামের মেয়ে বকুল ও ছেলের স্ত্রী সীমার সহায়তায় কিশোরীটিকে গর্ভপাত ঘটান।
গতকাল বুধবার দুপুরে এই হাসপাতালের আয়াকে বাসায় ডেকে নিয়ে গিয়ে কিশোরীটির গর্ভপাত ঘটানো হয়। এ সময় ১৪ বছরের কিশোরীটি ছয় মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিল। এদিকে, ঘটনার দায় স্বীকার করায় দুপুরে অভিযুক্তদের আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
অন্যদিকে, ঘটনার শিকার শিশুটিকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, দরিদ্র বাবা ও মায়ের অনুপস্থিতিতে দীর্ঘদিন ধরে বৃদ্ধ সিরাজুল ইসলাম ১৪ বছরের কিশোরীটিকে একা পেয়ে একাধিকবার ধর্ষণ করেন। একপর্যায়ে কিশোরীটি অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়লে অভিযুক্ত তার মেয়ে ও ছেলের স্ত্রীকে দিয়ে হাজীগঞ্জের ইসলামিয়া হাসপাতাল নামে একটি প্রাইভেট ক্লিনিকের আয়া নাজমা বেগমকে বাসায় ডেকে নিয়ে এই গর্ভপাত ঘটান।