মোহাম্মদ বিপ্লব সরকার।। চাঁদপুরে হাইমচরের চরভৈরবী থেকে মতলব উত্তরের ষাটনলের ৭০ কিলোমিটার পদ্মা-মেঘনা নদী এলাকা পর্যন্ত জাটকা রক্ষা অভিযান সফল করণে সচেতনতায় নৌ র্যালী করা হয়েছে। ১ মার্চ মঙ্গলবার সকাল ১০ টায় বড়ষ্টেশন মোহনা থেকে এই নৌ র্যালী শুরু হয়। নৌ র্যালী উদ্বোধন করেন জেলা টাস্কফোর্স কমিটির সভাপতি ও জেলা প্রশাসক অঞ্জনা খান মজলিশ। এতে জেলা প্রশাসন, উপজেলা প্রশাসন, মৎস্য বিভাগ, কোস্ট গার্ড, নৌ-পুলিশ সহ মৎস্যজীবী সংগঠনগুলো স্পীডবোট ও ইঞ্জিন ট্রলার নিয়ে নৌ র্যালীতে অংশগ্রহণ করে। র্যালীটি চাঁদপুর বড় ষ্টেশন মোলহেড থেকে শুরু হয়ে পদ্মা মেঘনায় ট্রহল দেয়।
জেলা প্রশাসক অঞ্জনা খান মজলিশ এই ২ মাসে জাটকা সংরক্ষণ অভিযান সফল করতে সকলের সহযোগিতা কামনা করে র্যালীপূর্বক বক্তব্যে বলেন,
সরকার ঘোষিত অভয়াশ্রমের এই ২ মাসে জেলেদের বিকল্প খাদ্যসহায়তায় বিজিডি কার্ডের চাউল বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। তাছাড়া ঋণের কিস্তির জন্য জেলেদের যাতে চাপ না দেয় সেজন্যও আমরা পদক্ষেপ নিয়েছি। নদীতে ইলিশের খাদ্য সঙ্কট কাটাতে আমরা এই ২ মাস সব ধরনের ড্রেজিং কার্যক্রম পুরোপুরি বন্ধ ঘোষণা করেছি।
তিনি বলেন, ইলিশ আমাদের জাতীয় সম্পদ। এই সম্পদ রক্ষার দায়িত্ব আমাদের সকলের। অভয়াশ্রমের এই দুই মাস নদীতে কোন প্রকার জাল ফেলা যাবে না। আইন অমান্য করলে আমরা কঠের হতে বাধ্য হবো। এই অভিযান সফল হলে আমরা জাটকা থেকে বড় ইলিশ পাবো। তাই এজন্যে সকলের সহযোগিতা কামনা করছি।
এসময় চাঁদপুর অঞ্চলের নৌ পুলিশ সুপার মো. কামরুজ্জামান, মৎস্য ইনস্টিটিউটের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. হারুনুর রশীদ, জেলা মৎস্য কর্মকর্তা গোলাম মেহেদী হাসান, চাঁদপুর প্রেসক্লাব সভাপতি গিয়াস উদ্দীন মিলন, সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম নাজিম দেওয়ান, ইউএনও সানজিদা শাহনাজ, জেলা প্রশাসনের অন্যান্য কর্মকর্তাবৃন্দ, কোস্ট গার্ড, নৌ বাহিনী, ফায়ার সার্ভিস, সাংবাদিকবৃন্দ ও মৎস্যজীবী সংগঠনের প্রতিনিধিবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
উব্দোধন অনুষ্ঠানে সভা শেষে জেলেসহ নানা শ্রেণী পেশার মানুষের মাঝে জাটকা সংরক্ষণে সচেতনতামূলক লিফলেট বিতরণ করেন জেলা প্রশাসক অন্জনা খান মজলিশ। উল্লেখ্য, চাঁদপুর সদর, হাইমচর, মতলব দক্ষিণ ও মতলব উত্তরে নিবন্ধিত ৪৪ হাজার ৩৫ জন জেলে রয়েছে। যাদেরকে অভয়াশ্রমের এই ২ মাসে জনপ্রতি ৪০ কেজি হারে মোট ৮০ কেজি চাউল দেওয়া হবে