1. admin@dainikamaderphulpur.com : admin :
  2. chiran777@gmail.com : selim rana : selim rana
  3. info.popularhostbd@gmail.com : phulpur :
সোমবার, ২১ এপ্রিল ২০২৫, ১০:৫৪ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
ফুলপুরে গণপরিবহনে উপজেলা প্রশাসনের মোবাইল কোর্ট ফুলপুর থানায় ওপেন হাউজ ডে অনুষ্ঠিত ফুলপুরে জেলা ছাত্রদলের উদ্যোগে ইফতার বিতরণ ফুলপুরে জুলাই বিপ্লবের শহীদ পরিবারের মাঝে ঈদ উপহার বিতরণ ময়মনসিংহ জেলার শ্রেষ্ঠ অফিসার ইনচার্জ হিসেবে নির্বাচিত হলেন ফুলপুর থানার ওসি মো:আব্দুল হাদি দলের নাম ভাঙ্গিয়ে যারা দলীয় ইমেজ নষ্ট করবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে: মাজেদ বাবু তারাকান্দায় উত্তর জেলা যুবদলের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম রফিকের উদ্যোগে ইফতার মাহফিল ঈশ্বরগঞ্জে ইউএনওর মধ্যস্থতায় কলেজের জমি জটিলতার সমাধান ঈশ্বরগঞ্জ প্রেসক্লাবের আয়োজনে দোয়া ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত ঈশ্বরগঞ্জে সুলভ মূল্যের হাটে নিন্ম আয়ের মানুষের স্বস্থি

চাঁদপুরের মতলব উত্তরে বিলুপ্তির পথে ঘানি শিল্প

Reporter Name

মোহাম্মদ বিপ্লব সরকার।। বিজ্ঞানের যুগে নিত্যনতুন যন্ত্রপাতি আবিষ্কারে মানুষের জীবন-মান সহজ হচ্ছে। বিদ্যুৎচালিত যন্ত্রের ব্যবহারের ফলে স্বল্প খরচ ও স্বল্প সময়ে অধিক উৎপাদনের কারণে গ্রামবাংলার আবহমান ঐতিহ্য সরিষা ভাঙ্গানোর ঘানি শিল্প বিলুপ্তির পথে।এখন জেলার কোথাও পু্রনো এ ঘানি নেই বলেই ধারণা চাষীদের।

চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার ১৪ টি ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে একসময় ভেজালমুক্ত সরিষার খাঁটি তেল তৈরিতে ঘানির ব্যবহার ছিল ব্যাপক। অনেক গ্রামেই পরিবারের লোকজন বেকারত্ব থেকে মুক্তি পেতে এই ঘানির মাধ্যমে সরিষার খাঁটি তেল তৈরি করে বাজারজাত করতেন। তবে এখন সেই চিত্রের আর দেখা মেলেনা।

মতলব উত্তর উপজেলার হানির পাড় গ্ৰামের চাষী ছানা উল্যাহ বলেন, বাড়িতে অল্প পরিসরে স্থানীয় কাঠমিস্ত্রির হাতে কাঠের তৈরি ঘানি বানিয়ে এক বা দুইটি গরুর সাহায্যে ঘানি টানিয়ে খাঁটি সরিষার তেল তৈরি করতেন। ঘানিতে ভাঙা তেলের কদরও ছিল অনেক। সরিষার খাঁটি তেল তরিতরকারিসহ সব ধরনের রান্নার কাজে ব্যবহার হতো। এককথায় ঘানির সরিষার তেল ছাড়া সে সময় রান্নাতে যেন গৃহিণীরা আর অন্যকিছু চিন্তাই করতেন না। তেল বের করার পর পেষাই করা সরিষার অবশিষ্টাংশকে বলে খইল। এই ঘানির খলই পশুখাদ্য ও জৈবসার হিসেবে ব্যবহার হতো।

জোড়খালী গ্রামের চাষী গোলাম মোস্তফা
কে বলেন,ঘানি ব্যবহারকারীরা এতে যেমন লাভবান হতেন, তেমনি সে সময় মানুষ সরিষার খাঁটি তেলের পূর্ণ স্বাদ পেতেন। কৃষকরা খইল জমিতে ব্যবহার করে জমির উর্বরা শক্তি বাড়াতেন। অল্প পুঁজিতে ঘানিশিল্প গড়ে তোলা যেত বলে অনেকেই এই পেশায় জড়িয়ে যান। বাড়ির গৃহকর্তার সাথে মহিলারাও এই ঘানির মাধ্যমেই সরিষার খাঁটি তেল তৈরির কাজে সহায়তা করতেন। বেশ আন্তরিকতার মাধ্যমে পরিবারের সদস্যরা বাজার থেকে সরিষা কিনে রোদে শুকিয়ে ঘানিতে মাড়াই করে খাঁটি তেল তৈরি করতেন।

ঠাকুরচর গ্ৰামের মিলন বলেন,পাঁচ কেজি সরিষা থেকে দুই কেজি তেল তৈরি হয়। প্রতি পাঁচ কেজি সরিষা ভাঙতে দুই ঘণ্টা সময় লাগে। এভাবে একদিনে পর্যায়ক্রমে একটি ঘানিতে ৩০ থেকে ৩৫ কেজি সরিষা ভাঙা যায়। বাজারে এ তেলের চাহিদা ছিল অনেক বেশি। প্রতি কেজি তেল সে সময় বিক্রি হতো অন্য তেলের দেড়গুণ দামে।

কোনো একসময় অনেক গ্রামেই সরিষার খাঁটি তেল তৈরির জন্য ঘানিশিল্প পরিচিতি লাভ করে। আধুনিকতার ছোঁয়ায় যান্ত্রিকতার যুগে টিকতে না পেরে অনেকেই বাধ্য হয়ে অন্য পেশায় ঝুঁকে পড়েছেন।

সংবাদ টি শেয়ার করুন

এ বিভাগের আরো সংবাদ
© All rights reserved
Design BY Raytahost