ছালেম বিন নুরঃ সিনহা হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত প্রদীপ ও লিয়াকত খালাস চেয়ে আপিল দায়ের করেছেন।
মঙ্গলবার (১৫ফেব্রুয়ারী) হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় আসামির পক্ষে অ্যাডভোকেট রানা দাশ গুপ্ত এ আপিল দায়ের করেন। আইনজীবী আপিল দায়েরের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ওসি প্রদীপ ও লিয়াকতের মৃত্যুদণ্ডের আদেশের বিরুদ্ধে আপিল দায়ের করে খালাস চেয়েছি।
এরআগে ৩১ জানুয়ারি অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা হত্যা মামলায় ২ জনের মৃত্যুদণ্ডের রায় ঘোষণা করেন।
গত ৩১জানুয়ারী সিনহা হত্যা মামলায় ২ জনের মৃত্যুদণ্ড ও ৬ জনের যাবজ্জীবনের আদেশ দেন আদালত। কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ ইসমাঈল রায় ঘোষণা করেন।
মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্ত আসামিরা হলেন, বাহারছড়া পুলিশ তদন্তকেন্দ্রের তৎকালীন ইনচার্জ লিয়াকত আলী এবং টেকনাফ থানার ওসি প্রদীপ কুমার দাশ।
যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত ৬ আসামীরা হলেন, নন্দ দুলাল রক্ষিত,(সাবেক এস,আই) মোঃ নুরুল আমিন,মোহাম্মদ আইয়াজ ও আয়াছ,মোঃ নিজাম উদ্দিন, রুবেল শর্মা ও সাগর দেব।
উল্লেখ্য, কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কের টেকনাফের বাহারছড়া চেকপোস্ট পুলিশের গুলিতে খুন সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোঃ রাশেদ খান। এ ঘটনার পাঁচদিন পর ওই ২০২০সালের ৫ আগষ্ট নিহত সিনহার বোন শারমিন শাহরিয়ার বাদী হয়ে বাহারছড়া পুলিশ তদন্তকেন্দ্রের তৎকালীন ইনচার্জ লিয়াকত আলীকে প্রধান আসামী ও টেকনাফ থানার ওসি প্রদীপকে ২য় আসামী করে ৯পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেন। মামলাটির তদন্তের দায়িত্ব পায় র্যাব। চার মাসের বেশি সময় ধরে ১৫ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট জমা দেন র্যাব। অভিযোগপত্রে সিনহা হত্যাকান্ডকে পরিকল্পিত হত্যাকান্ড বলে উল্লেখ করে।
গত ২৭জুন ২০২১ সালে ১৫ জন আসামীর বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়। পরবর্তী ২৩আগষ্ট সাক্ষী সাক্ষ্যগ্রহন এবং জেরা শুরু করে কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতে। এ মামলায় মোট ৬৫জনের সাক্ষীর সাক্ষ্য নেওয়া হয়েছে। এ এ প্রক্রিয়া শেষ হয় গত ১ ডিসেম্বর ২০২১ তারিখে।