মো: ফিরোজ উদ্দিন, শেরপুর জেলা প্রতিনিধি: সম্প্রতি কালবেলা পত্রিকায় প্রকাশিত শেরপুর জেলা নকলা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে নকলা উপজেলার আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা মো: শফিকুল ইসলাম জিন্নাহ ও নকলা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শাহ্ মোঃ বোরহান উদ্দিন প্রমুখ দের নিয়ে দৈনিক কালবেলা পত্রিকায় যে খবর প্রকাশিত হয়েছে তার উদ্বেগ প্রকাশ করে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন। নকলা উপজেলার আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা মো: শফিকুল ইসলাম জিন্নাহ বলেন, আমি আমার জীবন বাজি রেখে দেশকে মনেপ্রাণে ভালবেসে মুক্তি যুদ্ধে ঝাপিয়ে পড়েছি, মুক্তি যোদ্ধাদের পরবর্তী সময়ে বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রতিবাদ করতে গিয়ে এই স্বাধীন বাংলায় দীর্ঘ সময় জেল খেটেছি, আমি জাতীর পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের একজন একনিষ্ঠ সৈনিক হিসেবে স্কুল জীবন থেকে কলেজ জীবন পর্যন্ত আওয়ামী রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলাম। আমার নামে পত্রিকায় যেসব মিথ্যা ও বানোয়াট নিউজ প্রকাশ করা হয়েছে এই সবের সাথে আমি মোটেও জড়িত নই উদ্দেশ্য প্রনোদিত ভাবে আমাকে হেয় প্রতিপন্ন ও আসন্ন নির্বাচনেকে প্রভাবিত করার জনা একটা মহল ষড়যন্ত্র লিপ্ত হয়েছে। তবে এই নিউজ আমার ভোটারদের মনে কোন প্রভাব ফেলতে পারবে না। আমি আমার জনতাকে ভালোবাসি জনতা আমাকে ভালোবাসে, আর এই ভালোবাসায় আমাকে সামনে এগিয়ে নিয়ে যেতে সহায়তা করবে। তাছাড়া আমার বাড়ি, জায়গা জমি ও টাকা নিয়ে যেসব প্রশ্ন তোলা হয়েছে সে বিষয়টি আমি স্পষ্ট করে দিচ্ছি, আমি ঠিকাদারী করে রাস্তায় বালু বিক্রি করে লক্ষ লক্ষ টাকা আয় করেছি, স্থানীয় দুটি ব্যাংক থেকে প্রায় ২৫ লাখ টাকা লোন নিয়েছি, তাছাড়া আমার বাবার জমিও বিক্রি করেছি। বাবার জমি বিক্রি করে নির্বাচনে এসেছি। আর অনান্য বিষয় গুলো থেকে আমি নিজেকে মুক্ত রাখার চেষ্টা করেছি। আমার নির্বাচনের গণজোয়ার দেখে একটা মহল দিশেহারা হয়ে আমার সম্পর্কে মিথ্যা বাজে মন্তব্য ডুকিয়ে আমার ভোটারদের বিভ্রান্ত করার চেষ্টা চালাচ্ছে। কিন্তু এসব মিথ্যা বানোয়াট তথ্য প্রকাশ করে আমার জনগণের মনে বিষিয়ে তুলতে পারবেনা ইনশাআল্লাহ। আমি বিপুল ভোটে বিজয়ী হবো ইনশাআল্লাহ। আমি উপজেলার সকলের সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করে আনারস মার্কায় ভোট চেয়ে আবারো এই অপপ্রচারে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।
বর্তমান উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শাহ মো: বোরহান উদ্দিন বলেন, আমার বাবা মরহুম শাহ মোজাম্মেল হক সাহেব মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ে মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক ছিলেন।তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নকলা উপজেলার একাধারে প্রতিষ্ঠাতা সাধারণত সম্পাদক এবং আমৃত্যু সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন। আমার বোন ছিলেন নকলা উপজেলার মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এবং বড় ভাই যুবলীগের সভাপতি। আমি নিজে ছাত্রলীগের সভাপতি ছিলাম। আমি এরশাদ বিরুদ্ধি আন্দোলন, খালেদা জিয়া পতন আন্দোলন করেছি। আমার সম্পর্কে গন মাধ্যমে যেসব অপপ্রচার চালানো হচ্ছে তার সাথে আমার কোন প্রকার সংপৃক্ততা নেই, আমি এরকম কোন কর্মকাণ্ডের সাথে জড়িত নই। উদ্দেশ্য প্রনোদিত ভাবে আমাকে হেয় প্রতিপন্ন করার লক্ষ্যে আমার নির্বাচনকে বানচাল করার জন্য এসব মিথ্যা অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছে। আমি এই অপপ্রচারে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। সেই সাথে এমন উসকানি মূলক খবরে নকলা উপজেলার সকল জনগনকে শান্ত থাকার জন্য বিনীত অনুরোধ জানাই। ভোট জনগনের আমানত, জনগনের যাকে খুশি তাকে ভোট দিবে। এতে বিভ্রান্ত করার কিছু নেই।নকলা উপজেলার সকল জনগনের প্রতি মঙ্গল কামনা করেন সকলের কাছে মোটরসাইকেল মার্কায় ভোট চান তিনি।