জাহিদ হাসান,স্টাফ রিপোর্টার। আপনার অথবা আমার উপার্জিত তথ্য এবং সোশ্যাল মিডিয়া একাউন্ট নিজেদের যেকোনো ধরনের ভুলের কারণে একবার হারিয়ে গেলে ফিরে পাওয়া অসম্ভব না হলেও অনেক কঠিন। যে কোন সোশ্যাল মিডিয়া যেমন বহুল পরিচিত কিছু সাইট ফেইজবুক, টুইটার, লিংকডইন, ইউটিউব ইত্যাদি প্লাটফর্মে অ্যাকাউন্ট তৈরি করতে আপনার প্রয়োজন অরিজিনাল ইমেইল এড্রেস ফোন নাম্বার ও আরো কিছু ব্যক্তিগত তথ্য দিয়ে একাউন্ট করতে হয়। এখন অ্যাকাউন্ট ওপেন করলেন কিন্তু সেটা কিভাবে সুরক্ষিত রাখবেন? তার জন্য আপনাকে মেনে চলতে হবে সহজ কিছু নিয়ম:-শক্তিশালী পাসওয়ার্ড ব্যবহার করা। টু ফ্যাক্টর অথেন্টিকেশন অর্থাৎ দুই বা ততোধিক ভাবে প্রমানিত হওয়ার পর আপনি আপনার সোশ্যাল মিডিয়া সাইট বলেন অথবা ওয়েবসাইটি বলেন সেখানে প্রবেশ করতে পারবেন। কথনও যদি নিজের ব্যক্তিগত ডিভাইস বাদে অন্য যে কোন ডিভাইস ব্যবহার করে যেকোন ধরনের অ্যাকাউন্ট লগইন করলে সেখান থেকে মনে করে লগআউট করতে হবে। এখন চলুন জেনে নেই শক্তিশালী পাসওয়ার্ড আসলে কি? পাসওয়ার্ড নির্বাচনের ক্ষেত্রে আমরা সাধারণত চিন্তা করি যে, একটা সহজ পাসওয়ার্ড দিতে হবে যাতে খুব সহজে মনে রাখা যায়। কারণ আমার তো আবার পাসওয়ার্ড ভুলে যাওয়ার একটা রোগ আছে। পাসওয়ার্ডকে শক্তিশালী করতে যা করা উচিত তা হলো:পাসওয়ার্ড নির্বাচনের সময় এক নিজের সাধারণ তথ্য যা সবাই জানে এমন কিছু দিয়ে পাসওয়ার্ড বানানো যাবেনা। যেমন জন্মদিন এর সাথে নামের অক্ষর মিলিয়ে দিলেন, শুধু মোবাইল নাম্বার এটা কখন করা যাবে না। একই শব্দ বারবার পাসওয়ার্ড ব্যবহার করা যাবে না। কমপক্ষে আটটি বিভিন্ন ক্যারেক্টার এর সমন্বয়ে পাসওয়ার্ড বানাতে হবে এবং তার মধ্যে অবশ্যই এটা ক্যাপিটাল লেটার, নাম্বার ও স্পেশাল ক্যারেক্টার থাকতে হবে। সবচেয়ে বড় ভুল যেটা হয় সেটা হচ্ছে যে একই পাসওয়ার্ড বিভিন্ন জায়গায় ব্যবহার করা। এটা করা যাবে না। ইংরেজি ক্যাপিটাল লেটার, নাম্বার কিংবা কিবোর্ড সংকেত সমূহের সমন্বয় পাসওয়ার্ড নির্বাচন করলে তা অন্যদের পক্ষে অর্থাৎ যারা আপনার অ্যাকাউন্টটি হ্যাক করতে চাইবে তাদের পক্ষে ধারণা করা কঠিন হয়ে থাকে।