গোলাম মোস্তফা ফুলপুর প্রতিনিধি।। সময়ের পরিবর্তনে সমাজের সাংস্কৃতিক দৃষ্টি ভঙ্গির পরিবর্তন ঘটেছে।পরিবর্তন ঘটেছে সমাজের বর্তমান প্রেক্ষাপট।আধুনিকতার পালা বদলে হারাতে বসেছে বাউল পালাগান।
বর্তমানে বিদেশী সংস্কৃতির বাদ্যযন্ত্রে কান ফাটানো শব্দে সুরের নামে বেসুরে গান বেশি শোনা যায়।এতে যেমন মাটির টান নেই তেমনি এই গান গুলো হৃদয় ছুঁয়ে যায় না।অথচ প্রবীনদের মনি কোঠায় আজও উজ্জ্বল হয়ে রয়েছে বাংলার লোক সংস্কৃতি পালাগান ও বাউল গানের স্মৃতি।
শীত মৌসুম এলেই গ্রামগঞ্জে হাটে-বাজারে কোথায় অল্প,স্বল্প পরিসরে বসতো বাউল গানের আসর গ্রামীণ জনপদের খোলা জায়গা,বট গাছের নীচে,খেলার মাঠ সহ বিভিন্ন খোলামেলা স্থানে।খোলা স্থানে চার কোনায় চারটি খুটির মাথায় টিন তুলে তার নিচে বসত গানের আসর।
কেউবা গঠা করে আয়োজন করে সারা রাত ধরেই চলতো! এবং শুনতো দেশিও মন মাতানো,প্রাণ জুড়ানো গান। হারমোনিয়াম,তবলা,কাসা ও গলায় ঢোল ঝুলিয়ে বাউল গাইতো গান।মানুষ কে নিয়ে রচিত হতো দেশিও সংস্কৃতির বাউল গান।কালের বিবর্তনে যা এখন বিলুপ্তির পথে।
বর্তমানে আমরা যে সমাজে বসবাস করছি হিংসা-প্রতিহিংসায় চলছে আমাদের দিনাতিপাত।যদি অতীত আর বর্তমান অবস্থার মধ্যে তুলনা করা হয়,তাহলে দেখতে পাওয়া যায় বিস্তর ফারাক।
চিরদিন গভির প্রেম-ভক্তি ও আদবপুর্ণ বৈঠকী গানের আসর লোক দেখানো কোন চিত্তবিনোদের আয়োজন নয়,বরং এগুলো হলো মানুষের দেহ-মনকে পরিশুদ্ধ করার,বিনীত বিনম্র আচরণ ও নৈতিকতা শিক্ষার একটি পাঠশালা।
পারস্পরিক মমত্ববোধ ভ্রাতিৃত্ববোধ,বিনীত,-বিনম্র স্বভাব অর্জনে সামাজিক বন্ধন দৃঢ় ও মজবুত করার হাতিয়ার গ্রাম বাংলার হাজার বছরের ঐতিহ্যবাহী ভাব বৈঠকী গান।একদিন যা অতীত হয়ে থাকবে শুধু কাগজের পাতায়।